আই বি এন বাংলা,
------
আপনারা বলবেন আর অন্য কোনো রাজ্যে কী সম্প্রীতি দেখা যায় না?
হ্যাঁ, দেখা যায় কিন্তু মাঝে মধ্যেই সেই সম্প্রীতি মরীচিকার মতো হারিয়ে যায়।আর সত্যি কথা বলতে কী বাঙালিদের ক্ষেত্রে হিন্দু- মুসলিম এই শব্দ জোড়াটি যেন প্রযোজ্য নয়,আপনারা বলবেন কেন?হিন্দু-মুসলমান ভাই-ভাই মোরা এক সাথে থাকতে চাই,ঠিক আছে কিন্তু ঐ শব্দ জোড়াটির মধ্যে বাঙালির ঐতিহ্য ভাঙ্গনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে যে।বাঙালিরা ওসব জাতি,ধর্ম ভেদাভেদ মনে না, কয়েকটি উদাহরণ দিলেই আপনি বুঝবেন।
২০১৭ সালে সাম্প্রদায়িক আগুনে জ্বলছিল বসিরহাট, আর সেই জন্য রাগে ,ক্ষোভে এখান থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল তমাল।
কিন্তু যাওয়া তার আর হলো না, কার জন্য জানেন?ইরশাদ এত জন্য,হ্যাঁ সে তমালকে বলে ছিল-যাবো বললেই হলো? কেন যাবে? এসো একসঙ্গে আমরা বাস করছি করে যাবো,এটা কী ইরসাদের বাইরের খোলস?এর উত্তর তমালই দিতে পারবে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন আমরা বাঙালিরা কেউ নামাজ পড়ছি তো কেউ পুজো করছি, এখানেই তো আমাদের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হল।
না মোটেও না,আপনি একটু চিন্তা করলেই উত্তর পাবেন সংবিধান তো বৈধতা দিয়েছে যে যার ইচ্ছা মত ধর্ম পালন করতে পারবে তাতে অসুবিধা নাই।
কিন্তু আমি নিজে দেখেছি 'ফুরফুরা শরীফ' এ পিরসাহেবদের জানাজা নামাজের জন্য হিন্দু ভাইয়েরা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছিলেন।
আবার দেখেছি নদীয়া জেলায় মন্দির করার জন্য কয়েকজন মুসলিম ভাই জমি দান করেছেন, এটা কি সম্প্রীতি নয়? এরকম অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী আমাদের বাঙালি সমাজে আছে।
তাই আমরা বলতে পারি'বাঙালি' ও 'সম্প্রীতি' শব্দ দুটি যেন একে অপরের পরিপূরক।
0 Comments