‌ 



ঈশ্বর, তুমি একা নও   
ভরপুর এক-পৃথিবী, আমরাও
আছি।

গাছ-গুল্ম,লতাপত্রাদি,পাহাড়, তরঙ্গ হাতের মুঠোয় তুলে নিয়ে অহমিকায় গর্ -গর্ করছো তুমি।                                              
নিঃশব্দ অভিমানে আমরা সবাই চলে গেলে ‌
ঘর্মে- ঘর্মে মসজিদ, মন্দির বানাবে কে!

অক্সিজেন-ফ্লো-মিটারে নাক ঢেকে রাখব কতকাল।
রাক্ষসী সাপিনী হয়ে নিজের বাচ্চায় ক্ষুন্মি মেটাবে কেন!

পিচ্ছিল অ্যামিবার গর্ভে জটাধারী অরণ্যচারিরা ফিরে এসে হাসাহাসি করবে না-কি!

লাশ ভেসে যায় গঙ্গার কালস্রোতে                  নিভৃতবাসে চোখের জল ফেলে প্রিয়জন---‌‌ 
ধ্যান ভাঙেনি কী তোমার!‌‌
দিয়েছি তোমাকে ‌অট্টালিকা, রাজপথ ভূ-কৈলাশ, পরেছি রাজবেশ।
রপ্ত করেছি মঙ্গল-যানের মন্ত্র, ‌তোমার শ্বাসনালী-সমুদ্রে ভাসিয়েছি রণতরী ‌আনত-আকাশ ছোঁয়া মন্দিরে,দরগায়।
বাজিয়েছি জয়ঢাক, বসেছি ‌‌ প্রার্থনা সভায় চার্চের ঘন্টার ধ্বনি কানে গেছে কী তোমার!                    

‌মহাকাব্যের মহীয়সীর ক্রন্দন উঠে আসে পাতাল ফুঁড়ে 
কার কোলে মাথা রেখে বলো,
কাটাব এই প্যাণ্ডেমিকের তুচ্ছ জীবন ?          ‌‌‌