নুসরাত মিশু, ঢাকা: 


‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই
যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো, বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই। 
তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, 
আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা..।’
শিল্পী ও শিক্ষক ফাতিমা তুজ জহুরা রহমানের কন্ঠে এই গানটির মধ্যেমে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বইচারিতার বিশেষ আয়োজন ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’। আজ রাত ৯টায় অনলাইনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে গান, আলোচনা ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা করা হয়। আলোচনা করেন শিক্ষক ড. মো. সামসুজ্জামান। তিনি  বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একাত্তরের চেতনা ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছি, একাত্তরের দাপটে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে নির্যাস শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে বাংলার শাসনতন্ত্রে,তা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালির যে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, শাসনতন্ত্র, নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আমরা চাই সেই চেতনার প্রতিষ্ঠানিকতা পাক। শেখ মুজিব শহীদ হয়েছে। আজ শেখ মুজিব আমাদের মধ্যে নাই। ১৯৭১ সালে তিনি বন্দি ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে অব্যাহত ছিল বাংলার সকল প্রান্তে গ্রামে ঘরে ঘরে, এখনো তার নেতৃত্ব অব্যাহত আছে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে। তাই শেখ মুজিব মরে নাই।’




অনুষ্ঠানে ভারত থেকে বিশিষ্ট অবৃত্তিকার ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উপর লেখা কবি শহীদ কাদরী, কবি মহাদেব সাহা, কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে স্মরণ করে দিয়েছেন সে ভয়াল কালরাত্রিকে। 

শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী শায়লা রহমান ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণী বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।’ গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্ত আসরের মুক্তবন্ধু সানজিদা সরকার অর্পিতা। গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন আবু সাঈদ। 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বইচারিতার আয়োজন ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে  সহযোগিতায় ছিল মুক্ত আসর ও উদার আকাশ।