একুশের কথা বলবো ভেবেই দেখি,
শেষ শীতটুকু আলগোছে পড়ে আছে;
মেঘলা সরস্বতীর ফুল ফোটাতে,
এক পলকের একটু ছোঁয়ার কাছে।

ভাষা জননীর আঁচলে বর্ণমালা,
সজনের ডালে আকাশ অপেক্ষায়;
তোমার আমার মন খারাপের রাত,
চর্যাপদের শিলালিপি হয়ে যায়।

মেঘ কেটে গেলে হালকা শিশির লেখে,
সেই ভালোবাসা, আজও নিভৃতে সুপ্ত;
যে আবেগে যেন প্রদীপে- চেরাগে থাকেন,
পুব-পশ্চিমে অচিন্ত্য সেনগুপ্ত।

একুশের ভোরে সারা দুনিয়ার পাখি,
যখন শোনাবে নিজস্ব কলতান;
তুমি আমি সেই অকুণ্ঠ সঙ্গীতে,
কবিতাকে দেবো স্বরবৃত্তের টান!

শত কোটি ধ্বনি মুহূর্তে ঘুম ভেঙে,
হাজার ব্যর্থ আশা নিরাশাকে ঘিরবেই;
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো--সুরে, 
রূপসী বাংলা বাহান্ন সালে ফিরবে।

শিমুলের কুঁড়ি পলাশকে ডেকে যায়,
আয়, দুজনেই কৃষ্ণচূড়াকে বলি-- 
ঝরাপাতা তুমি কবি সুকান্ত হয়ে,
আবার জাগাও কলাবৃত্তের কলি।

বিবর্ণ শীত রোদ্দুর একদিন,
ফাগুনে ফাগুনে উপহার দেবে হাসি;
শহিদের গাথা শ্যামলিমাস্মৃতি ঘিরে,
রাগ বসন্ত ,ইমনে বাজাবে বাঁশি।

ভোরের মিছিল বর্ণমালার মালায়,
জীবনকে দেবে ঘুরে দাঁড়াবার মানে;
প্রতিবাদে আর প্রতিবাদী পায়ে হেঁটে,
আমরা ফিরবো নীল আকাশের গানে.