অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতিতাত্ত্বিক বহুত্ববাদ রাষ্ট্রবিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার। কেননা, সাংস্কৃতিক ঐক্যই শক্তিশালী রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করতে পারে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নিয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ বক্তৃতায় একথা বললেন ওপার বাংলার অর্থাৎ বাংলাদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগ সেন্টার ফর কালচার স্টাডিজ এই বক্তৃতার আয়োজন করে।
বৈশ্বিক প্রযুক্তিবিদ্যার জীবন্ত পরিসরে বহুজাতিক সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের নানা দিক গুরুত্ব পায় আলোচনায়। অধ্যাপক রহমান বলেন, "সংস্কৃতি মানুষের পরিচয়। সাংস্কৃতিক আবহেই একটি মানবশিশু একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যে সমাজে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও বহুত্বভিত্তিক সংস্কৃতির অস্তিত্ব দুর্বল সেখানে মানুষের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া মজবুত ভিত্তি পায়না।"
এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণ। আইকিউএসির ডিরেক্টর অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুমিত মুখার্জী। সঞ্চালনা ছিলেন সেন্টার ফর কালচার স্টাডিজের যুগ্ম-অধিকর্তা ড. দেবলীনা দেবনাথ। সেন্টার ফর কালচার স্টাডিজের যুগ্ম-অধিকর্তা ও লোকসংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সুজয়কুমার মণ্ডল জানান, সমাজবিজ্ঞান ও মানববিদ্যার বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে এ ধরনের আন্তঃবিদ্যায়তনিকচর্চা আরোও লাগাতার হওয়া উচিৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কালচার স্টাডিজ আন্তঃবিদ্যায়তনিকচর্চাকে নবতর দিশা দেখাবে বলে আমি মনে করি।
বৈশ্বিক চাহিদার প্রতি গুরুত্ব রেখে নিয়মিত এমন উচ্চস্তরীয় জ্ঞান-চর্চা অদূর ভবিষ্যতে সেন্টারটিকে স্বতন্ত্র বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করবে। এই আলোচনাচক্রে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক-অধ্যাপিকার পাশাপাশি, গবেষক, ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশ নেন।
0 Comments