বাংলাদেশ বইমেলায় প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বইমেলার উদ্বোধন মঞ্চে কবিতা পাঠ করলেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক কবি ফারুক আহমেদ। এদিন কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী মধুবন চক্রবর্তী।
  উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেখক পরিষদের সভাপতি ও বহুমাত্রিক লেখক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ ও রিদম প্রকাশন সংস্থার কর্ণধার ও বাংলাদেশ বইমেলা কমিটির কর্মকর্তা মোঃ গফুর হোসেন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক নলিনী বেরা,


 বাংলাদেশের লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, সেমিনারে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রঞ্জন সেন, ড. আকিকুল ইসলাম, একরামূল হক শেখ, সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইমেলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশেও যাতে পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশকরা বইমেলা করার সুযোগ পান তার প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাহলে দু'দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে উল্লেখ করে তিনি। এর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দীপু মণি জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে এপার বাংলার বিভিন্ন লেখক ও প্রকাশকের বই পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশেও পশ্চিমবঙ্গ বইমেলা খুবই তাড়াতাড়ি চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ওখানকার প্রকাশকরা পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা করার বিষয়ে সবরকম সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।


কলেজ স্কোয়্যারে শুরু হল শুক্রবার ২ ডিসেম্বর ১০তম বাংলাদেশ বইমেলা। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত‌্য বসু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বক্তব্য রাখার সময়ে বলেন, ‘‘এরাজ্যে যেমন বাংলাদেশ বইমেলা হচ্ছে। তেমনই বাংলাদেশেও যদি এখানকার প্রকাশ করা বইয়ের মেলা করতে পারেন, তবে সেখানকার মানুষও এই বাংলার বই পড়তে পারবেন।’’ তাঁর এই ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে চান বলে জানান বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ওখানেও পশ্চিমবঙ্গের বইমেলা হবে। আমাদের প্রকাশক, লেখক সকলের সাহায‌্য আপনারা পাবেন। আমাদের সকল বইয়ের দোকানে পাওয়া যায় এখানকার বই।’’

প্রতিদিন প্রকাশক ছাড়াও বাংলাদেশের বহু লেখক বইমেলায় অংশ নিচ্ছেন।



বাংলাদেশের ৭৫ জন প্রকাশকের বই পাওয়া যাবে বইমেলাতে থাকা ৬৮টি স্টলে। আর প্রতিদিন বেলা ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কলেজ স্কোয়ারে বাংলাদেশ বইমেলা। ২ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত চলবে বাংলাদেশ বইমেলা।