জন্ম ও বেড়ে ওঠা লাহোরে।  বাবা ছিলেন খুচরা যন্ত্রপাতি বিক্রেতা। বাবা-মার চিন্তা ছিল শুধুই  পড়াশোনা নিয়ে। তাই যত সুযোগ-সুবিধা দেয়া সম্ভব তা দিয়ে একটা ভালো স্কুলে ভর্তি করালেন। ১২ বছর বয়সে  মায়ের সাথে থাকতে শুরু করে, নানির বাড়িতে। বাবা মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল। স্কুলে সবধরনের খেলা খেলতেন। তবে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মায় যখন ক্লাস নাইনে উঠেন। তারা ছিলেন চারভাই  । 



তাদের সাথে স্টাম্প নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে টেনিস বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মূল মাঠ সেটায় খেলার সুযোগই পেতেন না।  তার চারপাশে ছোট জায়গা খুঁজে বের করে যেখানে খেলতেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ দেখতেন আর ভাবতেন, এতো সুন্দর ঘাসের মাঠে যদি খেলার সুযোগ পেতাম । সেই সময় তিনি জানতেন  না বল কেনার টাকা কোথায় পাবেন । এটাও জানতেন না কোন ক্লাবে কীভাবে যোগাযোগ করতে হয় ?  তখনকার প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটার খালিদ মাহমুদ ,ক্লাব ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রেরণা জোগান। তার সাথে বাই সাইকেলে চড়ে প্যাকটিসে যেতেন আর তখন থেকেই ক্রিকেটের প্রতি তীব্র আগ্রহ শুরু হয়। তৎকালীন কোচ সিদ্দিক খান তাকে  ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি করে দিলেন। সেখানকার ক্রিকেট টিমটা ভালো।কলেজে ভর্তি হলেন ঠিকই কিন্তু ওই কলেজ টিমের অধিনায়ক ছিলেন বাঁহাতি পেস বোলার যার কারণে তার একাদশে জায়গা হয়নি। তিনি ছিলেন দ্বাদশ ব্যক্তি। মজার কথা, তিনি যখন  কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে উঠেন তার  আর  কলেজ টিমে খেলা হয়ে উঠেনি।  কারণ তখন তিনি  পাকিস্তানের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান। সেই ছেলেটির নাম ওয়াসিম আকরাম। 
১৯৮৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আকরামের। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জেতাতে বিশাল ভূমিকা পালন করেন ওয়াসিম।  ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক হন। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলেন। ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট মিলিয়ে ৯১৬ উইকেট শিকার করেছেন ওয়াসিম।  পেসারদের মধ্যে ৫০০+ উইকেট পাওয়া একমাত্র  বোলার তিনি।  ৫৭তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা  কিং অফ সুইং ।
#WasimAkram #cricket #PCB