গোলাম মোর্তজা, । 

 আই. বি.এন. বাংলা। ---


---প্রায় প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমে দেখি একটা বিশেষ শব্দ 'জলসংরক্ষন'।আচ্ছা আমি বলতে চায় পৃথিবীতে তিনভাগ জল আছে,তা সত্ত্বেও সংবাদ মাধ্যমে এই শব্দটা দেখতে পাই কেন? এই প্রশ্নটা মনকে করার পরেই আমার জল সম্পর্কে পড়ার ইচ্ছা জাগলো।

বই থেকে পেলাম পৃথিবীর তিন ভাগ জল আছে ঠিকই কিন্তু তার মধ্যে পান করা যায় মাত্র শতকরা তিন ভাগ বাকি ৯৭ ভাগ পানের অযোগ্য।এই শতকরা তিন ভাগ পানীয় জলের বেশির ভাগই আমরা ভুগর্ভ থেকে পায়।




আর এই ভূপৃষ্ঠের জল চুঁইয়ে যখন ভূগর্ভে আসে ,তখনই ভূগর্ভের জলের যোগান বজায় থাকে।

এখন আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন উকি মারছে,জলাশয়ের কি জীবন আছে? হ্যাঁ, ছিল তো , এবার আপনি বলুন আজ থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে আমাদের গ্রামে বাড়ির যাবতীয় কাজ কোথায় হতো?বলবেন পুকুরে কারণ পুকুরে জল ব্যাবহারের উপযোগী ছিল।




কিন্তু এখন পুকুর নেই বল্লেই চলে যদিও বা কয়েকটা আছে সেগুলোতে বিভিন্ন ধরণের বর্জ্যপদার্থ(রাসায়নিক,প্লাস্টিক ইত্যাদি) ফেলার ফলে জলের বাস্তুতন্ত্র পুরপুরি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এর ফলে বর্তমানে গার্হস্থ্য কোনো কাজ করা যাচ্ছে না,এখন বেশির ভাগ জলাশয় গুলি থাকা না থাকা সমান,তাই বলাই বাহুল্য পুকুর গুলো মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছে।



এখন আমাদের বাড়ির সমস্ত কাজ ভুগর্ভস্থ জলের উপরেই নির্ভরশীল,যে কারণে বিভিন্ন যন্ত্রের সাহায্যে লাগামহীন জল তুলে নেওয়া হচ্ছে।

এর ফলে দ্রুত পানীয় জলের পরিমান কমছে,আর জলই হলো জীবন।

আর সব থেকে বড় কথা জলাশয় কমে যাওয়ায় ভূগর্ভের জলের যোগান কমে যাচ্ছে।

তাই এই সংকট সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের উচিত জলাশয় গুলো সংরক্ষণ করে বাড়ীর কাজের উপযোগী করে তোলা।



নাহলে আমাদের বেঁচে থাকাটা দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে। একটা প্রবাদ বাক্য আছে "যারে তুমি টানিছ পশ্চাদে, সে তোমারে টানিবে পিছে"এটা আমাদের মনে রক্ষতে হবে।

আসুন আমরা জলাশয় বোজানো বন্ধ করি এবং অনুপযোগী জলাশয় কে সংস্কার করি।