গোলাম মোর্তজা,।

 আই বি এন বাংলা। --

--আমাদের প্রধান শ্বাস-যন্ত্র হলো ফুসফুস, এই অঙ্গ যখন খারাপ হতে থাকে তখনই আমাদের জীবন মৃত্যুর লড়াই শুরু হয়।

অর্থাৎ আমাদের /বেশির ভাগ প্রাণী দের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস,তাই এই অঙ্গের যত্ন আমাদের নিতেই হয়। কিন্তু আমাদের মনে একটা প্রশ্ন জাগছে,'পৃথিবীর ফুসফুস'এটা আসলে কি? আমরা সকলেই আমাজন নদের নাম শুনেছি,এই নদের তীরে প্রায় পঞ্চান্ন লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল 'রেন ফরেস্ট'বা'বর্ষা বনভূমি'।

এই অঞ্চলকে আমাজনের বনভূমিও বলে,এখান থেকে পৃথিবীর প্রয়োজনের কুড়ি শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ হয়।তাই এই অঞ্চলকে 'পৃথিবীর ফুসফুস' বলা হয়। 




এখানে অসংখ্য প্রজাতির মানুষ ও উদ্ভিদের সাথে বাস করে দশ লক্ষ নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ।কিন্তু আজ আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করেছে এই চিরহরিৎ বনভূমিকে ,এর জেরে বিস্তীর্ণ এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে আছে।

আমাজন অরণ্যে এ বছরের এমন রেকর্ড  সৃষ্টিকারী অগ্নিকান্ডকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা 'আন্তর্জাতিক সংকট ' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

আমাজন বনাঞ্চল বা 'পৃথিবীর ফুসফুস'কে আমাদের রক্ষা করতেই হবে, কেননা এই বনাঞ্চলের গাছপালা প্রতি বছর কয়েক মিলিয়ন টন কার্বন শুষে নিয়ে বিশ্বের উষ্ণায়নের সাথে যুদ্ধ করছে।

পরিবেশবিদরা মনে করেন বিশ্বের এই বৃহৎ অরণ্য রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগীতার প্ৰয়োজন।কী ভাবে আগুন লাগলো?কেন এই দাবানল?কে এর জন্য দায়ী?এসব প্রশ্নের উত্তর পরে হবে,এখন আগুন বন্ধ করতেই হবে।





কারণ অক্সিজেন সরবরাহের ভান্ডার এখন বিষাক্ত গ্যাসের অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে।যদি এই পরিস্থিতির মোকাবিলা না করা হয় তাহলে গভীর সংকটে আমাদের পড়তে হবে এবং বিলুপ্ত হতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ।

একটা আশার আলো আছে, ব্রাজিল সরকার আগুন নেভানোর জন্য বিভিন্ন ব্যাবস্থা গ্ৰহণ করেছে এবং একপ্রকার যুদ্ধই চালাচ্ছে 'পৃথিবীর ফুসফুস'কে রক্ষা করতে।