আই বি এন বাংলা।
---আমরা প্রায়ই দেখি সংবাদ মাধ্যমে একটি শব্দ ' বিশ্ব-উষ্ণায়ন',বিষয়টি নিয়ে ২৫-৩০ বছর আগে তো এইরকম ঘটা করে আলোচনা হত না।
এখন কি এমন হল যে 'বিশ্ব-উষ্ণায়ন'নিয়ে বিশ্বের সকলেই চিন্তিত?
সত্যি চিন্তা করাই স্বাভাবিক।
আমাদের পৃথিবীকে ঢেকে রাখা বায়ু মন্ডলকে ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে আসে সূর্যের আলো, কিন্তু দিনের শেষে ভূপৃষ্ঠের বর্জিত তাপের বেশির ভাগটাই বায়ুমণ্ডলে থাকা 'গ্রীণ-হাউস'
গ্যাসের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠেই ফিরে আসছে।এরই জন্য দিনের পর দিন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।
বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকেই ' বিশ্ব-উষ্ণায়ন'বলেছেন।
এর ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে,যার জেরে অনেক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলুপ্ত হচ্ছে এবং বিলুপ্তের পথে এগোচ্ছে।'
বিশ্ব-উষ্ণায়ন'যেন উর্ধমুখী সূচক এর মত বেড়েই চলেছে,থামার কোনো ব্যাপার নেই।
কারা এই 'গ্রীন-হাউস 'গ্যাস? কার্বন-ডাই-অক্সাইড,মিথেন,নাইট্রাস-অক্সাইড, ক্লোরো-ফ্লুর-কার্বন ইত্যাদি হল এই গ্যাস।এই গ্যাস গুলি আসছে কোথা থেকে?
চিরাচরিত শক্তির উৎস( কয়লা , পেট্রোল,ডিজেল,
কেরোসিন ইত্যাদি)-র লাগামহীন ব্যাবহারের জন্যই বায়ুতে প্রচুর পরিমানে মিশছে ঐ বিষাক্ত গ্যাসগুলি।
কিন্তু কোনো উপায় আছে কি এর বিকল্প শক্তি ব্যাবহার করার?
হ্যাঁ আছে সূর্যশক্তি,বায়ুশক্তি,জলশক্তি ইত্যাদি এগুলোকে অচিড়াচরিত শক্তি বলে।
এই শক্তির ব্যাবহার একটু ব্যায়বহুল হলেও ,এর দ্বারা বায়ুতে কোনো বিষাক্ত গ্যাস মেশে না।
অর্থাৎ এর ব্যবহার করা আমাদের একান্ত কাম্য।সবুজায়ন টা কেন?
একটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে,আমরা যথেচ্ছ ভাবে গাছগুলোকে কেটে ফেলছি একবারও
ভাবছি না এরা বিষাক্ত 'গ্রিন-হাউস' গ্যাসগুলোকে শোষণ করে বায়ুকে বিষ মুক্ত করে।তাই গ্রীন-হাউস গ্যাস কমাতে বৃক্ষরোপণ/সবুজায়ন এর বিকল্প কিছুই নেই।
তা নাহলে পৃথিবীর উষ্ণতা আরও বৃদ্ধি পেয়ে জমাট বাঁধা বরফ গলিয়ে স্থলভাগকে ডুবিয়ে পৃথিবীকে দ্রুত ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।
তাই"অচিড়াচরিত শক্তির ব্যাবহার ও সবুজায়ন" হোক 'বিশ্ব-উষ্ণায়ন 'এর হাতিয়ার।
0 Comments