আই বি এন বাংলা,,
---
-উপরের লাইন টা পড়ে আপনাদের মনে প্রশ্ন ইসলাম কি শিক্ষার পক্ষ্যে ?
হ্যাঁ অবশ্যই ,'ইসলাম' এই শব্দটাকে ধর্ম হিসাবে না দেখে এর আভিধানিক অর্থ দেখুনতো,এর অর্থ হলো 'শান্তি' যেটা প্রতিটা ধর্মেরই মূল কথা।
এই ধর্ম পরিচালিত হয় পবিত্র গ্রন্থ 'ক্বোরআন শরীফ' দ্বারা,আর এই গ্রন্থে পড়াশোনা করা(স্টাডি করা) নামক একটি
সূরা আছে।
ইকরা অর্থাৎ পড় এই শব্দটি 'ক্বোরআন শরীফ' অবতীর্ণ হওয়ার প্রথম শব্দ,এই শব্দটি দ্বারা পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
মানুষ হল সৃষ্টির সেরা জীব,এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে শিক্ষা অর্জনের দ্বারা।
এই প্রবিত্র গ্রন্থ যারা মানেন তাদের জন্য জ্ঞান অর্জন করা আবশ্যিক অর্থাৎ সকলকেই শিক্ষা গ্রহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাই হল জাতির মেরুদন্ড , শিক্ষা ছাড়া কেউই উন্নতি করতে পারে না।
এই পবিত্র গ্রন্থ নাজিল হয়েছিল প্রায় ১৪৫০ বছর আগে,অর্থাৎ ইসলাম অনেক আগেই শিক্ষার প্রসারে সরব হয়েছে।
নবী পাক হজরত মোহাম্মাদ (সা: আ:) সকলকেই বলতেন শিক্ষা অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হলেও ওখানে যেতে হবে। এখানে আপনারা বলবেন আরবে কি শিক্ষার বাবস্তা খারাপ ছিল?
না এখানে বোঝানো হয়েছে শিক্ষা অর্জনে যত কষ্টই হোক তথাপিও শিক্ষা অর্জন করতেই হবে,কেননা শিক্ষাই মানুষকে আলোর পথ দেখায়।ইসলাম কখনই অশিক্ষিত লোকেদের সমর্থন করে না, বরং বলে তোমরা মুর্খদেরকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিও না।
ইসলাম নারীদের কেও পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে শিক্ষা গ্রহণের জন্য।নারীদের ব্যাপারে নবী করীম(স: আ:) বলেন একজন পুরুষ শিক্ষিত হলে সে নিজেই শিক্ষিত হয় ,আর একজন নারী শিক্ষিত হলে সে পুরো পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলে।
সুতরাং ইসলাম অনেক আগেই সর্ব শিক্ষা অভিযানের কথা বলেছে।
আশাকরি আপনারা বুঝেছেন।
0 Comments