আজ---
রাস্তার ওপর থেকে একটা মেয়েকে
আদিম উল্লাসে তুলে নিয়ে গেল
ছোকরা নেকড়ের একটা দল।
দানবিক লাল চোখ, হাত গুলো যেন
পাশবিক থাবা আর তামসিক মন
পৈশাচিক প্রবৃত্তিতে গড়া ।
__________________
কাল----
খবরের কাগজের সামনের পাতা
আর মিডিয়াতে শুধু কিলবিল করবে
খবরের পোকাগুলো; এই বিশ্বাসের
আত্মতৃপ্তিতে নিশ্চিন্ত লোকালয়।
__________________
এরপরে ছুটে আসবে খাকি পোশাকের
গাড়ি, হন্তদন্ত হয়ে; ডালকুত্তা গুলো
শুঁকবে রক্তাক্ত ধুলো আর মরদেহ।
ফলতঃ টিভিতে জোর বিতর্ক চলবে--
তুলবে অনেক ঝড় "বড়ো বড়ো মাথা"।
হয়তো ধরা পড়বে পুলিশের জালে
ছোকরাদের কেউ কেউ;বিচার ও চলবে।
কারো কারো ফাঁসি হবে ,কেউ ছাড় পাবে
আইনের মারপ্যাঁচে ।কাগজের বিক্রি
ফের বেড়ে যাবে এক লম্বা লাফ মেরে।
মন্তব্য মুখর হবেঃখুব ভালো হলো
এতদিনে সাজা পেল কুলাঙ্গারগুলো।__________________ভাবছি----
এই রকম পরিস্থিতির এই পরিনতি
যুগে যুগে ঘটেছিল ---ঘটলো-ও আর
ঘটবে এটাও নির্দ্বিধায় বলা যায়----
এর থেকে সমাজের মুক্তি নিরুপায়।
__________________
একবার------
ভেবে দেখো মরে যাওয়া মেয়েটার কথা।
ঘরে তার মা ছিলো,বাপ-ভাই-বোন।
মন জুড়ে স্বপ্ন ছিল, আনন্দে উদ্বেল---
সুখ ছিল, প্রাণে ছিল বৈভব অঢেল
কোনো একদিন দয়িতের দয়িতার
সিংহাসনে উঠে বসতো, হয়তো আবার
মা হতো ফুটফুটে কোন বাচ্চার।
কাকলিতে ভরে যেত মনের উঠোন।
সব কেড়ে নিল ক-টা পশুর আঁচড়।__________________
ঐ---
নির্লজ্জ পশুর দল অন্য রকম
হতে পারতো, হতে পারতো, অন্য রূপ ধ'রে।
কারণ তারাও তো কোন মায়ের গর্ভে
জাত মানব-সন্তান!ভুল বলেছি কী?
হতে পারতো আইএএস, আই পি এস, আর
দেখাতে পারত তার মানবিক মুখ।
হতে পারতো দেশপ্রেমী, সীমান্ত-সৈনিক-
নেতাজির মত স্পষ্ট অসাম্প্রদায়িক---
একটা নেতার মুখ, ধর্ম-ব্যবসার
বাটপাড়দের যুগে।
হতে পারত অপহৃতা যুবতীর ত্রাতা
যে-রূপে কলঙ্কি আজ তার উল্টোটা!
__________________তাহলে "সমাজ"! তাই করে দেখাও না---
আলো ঢেলে-ঢেলে সেই পথ দাও গ'ড়ে।
কুলাঙ্গার ছেড়ে দিক্ ফাঁসির-সড়ক---
'মানুষ' হয়ে হাঁটুক ভালো পথ ধ'রে।।
0 Comments