সূচনা হল বাংলা ভাষার বৃহত্তম কবিতা পার্বণের। বৃহস্পতিবার ‘একতারা মুক্তমঞ্চে’ শুরু হল কবিতা উৎসব। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমি। চার বছরে পা দেওয়া এই উৎসব চলবে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত।
রবীন্দ্র সদন, একতারা মুক্তমঞ্চ, শিশির মঞ্চ, অবনীন্দ্র সভাঘর, বাংলা আকাদেমি, চারুকলা ও গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শশালা। সব মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গা। অংশ নেবেন ৬০০ জন। তাঁদের কেউ কবিতা লেখেন, কেউ বা আবৃত্তিকার। কেউ কেউ আবার কাব্যালোচনা ও কবিতার গানে বিশেষ পটু। এঁদের সকলকে নিয়েই এ দিন একতারা মুক্তমঞ্চে বসেছিল আসর।
চিত্রশিল্পী ও সাংসদ যোগেন চৌধুরী প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচিমুখ তৈরি করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি ও পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির সভাপতি সুবোধ সরকার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার অংশ বিশেষ আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বাচিকশিল্পীরা। কবিতা শোনাতে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমির ছাত্ররাও। এ বছর জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হন বর্ষীয়ান কবি প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও কবিতায় নিজ নিজ অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হলেন সমর রায়চৌধুরী, শ্রীজাত এবং বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবৃত্তিশিল্পে বিশেষ মুন্সিয়ানার জন্য সম্মানিত হলেন বর্ষীয়ান শিল্পী শুভ্রা বসু। পুরস্কৃত হলেন মেধা বন্দোপাধ্যায় ও প্রণামী বসাক।
কবিতা আকাদেমির সভাপতি সুবোধ সরকারের কথায়, ‘‘গোটা ভারতে কোথাও কবিতা আকাদেমি নেই, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। এত বড় কবিতা উৎসবও গোটা দেশে একমাত্র এখানে।’’ আগামী দিনেও কবিতা আকাদেমির সব রকমের কাজে অভিনবত্ব আনার কথা জানান তিনি।
এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি ও আবৃত্তিকারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান ইন্দ্রনীল সেন। তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব পিয়ালী সেনগুপ্তও এ দিন সকলকে অভিবাদন জানিয়ে অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
0 Comments