বৈদ্যনাথ দাস

দেখগো ঠাকুর অমল খাঁচাতে বন্দী
কোয়ারেন্টিনে চুপচাপ বসে ঘরে 
অমলরা আজ সব পথঘাট ভুলে
বোবা হয়ে গেছে সুধু করোনার ডরে।

তোমার সুধার কিন্তু নেইকো ছাড়
রান্না বাটির খেলা খেলে ঠিক চলে 
বাসনের কাঁড়ি কাপড় ধোয়াটা আজও
তোমার সুধাই করেযে চোখের জলে।

তোমার অমল পায়নি ফুলে মালা
তোমার জন্মদিন সুধু ফেসবুকে 
তোমার সুধারা যায়নি তুলতে ফুল 
জন্মদিনটা ফুল হীন গেল চুকে।

তোমার কবিরাজ দেখেনা এখন রুগী 
করোনার জেরে ওরাও ফাঁপরে পরে 
তোমার কবিরাজ স্তেথো ফেথো সব ছেড়ে 
থার্মাল চেক মেশিন নিয়েছে ধরে।



তোমার দই ওয়ালা আসতে পারেনা আর
পাঁচমুড়ো তলে আটকে রয়েছে ঘরে 
শ্যামলী নদীতে স্নান করা হল দায় 
গ্রামের বধূরা ঘরেতেই স্নান করে।

তুমিতো দেখেছ আগেও মহামারী
কত লোক আর পৃথিবী জুড়ে মরেছে ?
তুমিতো দেখেছ পৃথিবীও দাঁড়িয়েছে ঘুরে
এক এক করে আবার শূন্য ভরেছে।

দোকান বাজার খুলছিল যা আগে 
করোনা বাড়তে বন্ধ যে সব কিছু 
জমায়েত তাই একটু একটু কমে
কারন করোনা নিয়েছে সবার পিছু।

তাই অমলেরা ঘরেতে বন্দী হয়ে
সারাদিন সুধু ফেসবুকে চোখ রাখে 
সুধারা কেবল সামলে চলেছে ঘর
আলাদা থাকার উপায় দেয়নি তাকে।


তবুও অমল বন্দী দশায় থেকে 
লিখেছে সুধুই তোমার প্রেরণা নিয়ে 
অমল সুধারা কবিতায় বলে যায় 
কলম যে চলে তোমাতেই ভর দিয়ে।।