ফারুক আহমেদ 



অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা ফজলুল হকের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভার সৌজন্যে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটস্থিত মহাবোধি সোসাইটি হলে এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনার আয়োজক ভূমিপুত্র উন্নয়ন মোর্চা অফ ইন্ডিয়া (BHUMI)। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন সমাজের নানা স্তর থেকে আগত ১৫০ জন গুণী মানুষ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিকল্প ইতিহাস লেখায় পারদর্শী খাজিম আহমেদ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য আহমেদ হাসান ইমরান, বর্তমান সাংসদ জহর সরকার, ঐতিহাসিক মহীতোষ গায়েন, সমাজসেবী মুন্সি আবুল কাশেম।

সভায় বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আপনজন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল হক, উদার আকাশ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, আলিয়া সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক সইফুল্লা,লেখক আলিমুজ্জমান, সামাজকর্মী সাদিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক মেশারফ হোসেন, অধ্যাপক মির্জা মোসারফ হোসেন, প্রবন্ধিক একরামূল হক শেখ, লেখক দীপক সাহা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ভূমির সদস্য, ড. রামিজ রাজা, শেখ আব্দুল মুরাদ, ওয়াহেদ মির্জা, রহুল আমিন,ডা. আবু সাঈদ, শেখ ইমরজ মির্জা, মহুমিতা দাস, আসফাক আহমেদ ও ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস।



রাজ্য তথা উপমহাদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাসে যখন একপেশে বয়ান তৈরিতে সংখ্যাগুরু সমাজের একাংশ তার প্রতিবেশী সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করতে ব্যস্ত, এই ধরনের উদ্যোগ নিশ্চিতভাবেই এই ভূখণ্ডের ইতিহাসকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সেই বিশেষ জাতির ও অবদানের স্বীকৃতি। বিশেষ করে শেরে বাংলার কথা ও তাঁর রাজনৈতিক জীবন বাঙালি তথা বাঙালিত্ব, তার সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে মুসলিমত্ব এবং এই দুয়ের মধ্যে মিলন ঘটানোর মাধ্যমে স্বজাতিয়তা তৈরিতে বিশেষভাবে অনস্বীকার্য। 
উদ্বোধনী ভাষণ দেন ড. রামিজ রাজা। এদিন শেরে বাংলা সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজ্যসভার সংসদ জহর সরকার ও সমাজকর্মী মুন্সী আবুল কাশেমকে। 



শেরে বাংলা ফজলুল হকের উপর স্মরণে শেখ আবদুল মুরাদের সম্পাদনায় ২৪ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখায় সমৃদ্ধ একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। স্মরণিকাটি উদ্বোধন করেন সম্মানীয় অতিথিরা। মূল্যাবান বক্তব্য রাখেন খাজিম আহমেদ, জহর সরকার, আহমেদ হাসান ইমরান ও মহীতোষ গায়েন। 



সব শেষে শেরে বাংলা ফজলুল হকের উপর মুজিবর রহমানের পরিচালিত একটি শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। সমাপ্তি ভাষণ দেন ভূমির সভাপতি ডা. আবু সাঈদ আহমেদ। রুহিল আমিনের সুচারু সঞ্চালনা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।