মোস্তাক হোসেনকে পদ্মভূষণ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন কবি জয় গোস্বামী। মোস্তাক হোসেন শিক্ষা প্রসারে এবং মানবকল্যাণে অফুরন্ত কাজ করছেন। সমাজকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ মোস্তাক হোসেনকে পদ্মশ্রী বা পদ্মভূষণ-এর মতো সম্মানে সম্মানিত করার উচিত বলে মন্তব্য করেন কবি জয় গোস্বামী। মোস্তাক হোসেনকে সমাজকল্যাণের জন্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানালেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সারির কবি জয় গোস্বামী। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে কবির বাসভবনের লাইব্রেরিতে এক আন্তরিক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ‘মোস্তাক হোসেন: জীবন ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক গবেষণা গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন করেন কবি জয় গোস্বামী। উপস্থিত ছিলেন গবেষণা গ্রন্থের প্রকাশক ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ। বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং সমাজসেবী মোস্তাক হোসেনকে নিয়ে লেখা এই গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন করে কবি জয় গোস্বামী বলেন, ‘‘জনাব মোস্তাক হোসেন বিষয়ক বইটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এরকম মহৎ, মানবদরদি, জনকল্যাণকারী ও শিক্ষাব্রতী এবং রুগ্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোয় বদ্ধপরিকর মানুষকে নিয়ে গ্রন্থ প্রকাশ সত্যিই দরকার ছিল খুবই। সম্পাদক ফারুক আহমেদকে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।’’
কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় গ্রন্থে লিখেছেন, ‘‘মোস্তাক হোসেনের জীবনমুখী কার্যকলাপের কথা জেনে মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি। তাঁর মতো মানুষ আজ বিরল। এমন জীবনদরদি ও মানবদরদি মানুষ এখন আমাদের খুব দরকার।’’


সাতশো কুড়ি পৃষ্ঠার এই সুবিশাল গ্রন্থে কলম ধরেছেন একশো সতেরো জন লেখক।
লেখক তালিকায় যেমন রয়েছেন বর্ষীয়ান কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, গবেষক, তেমন রয়েছেন উদীয়মান প্রকাশক, সম্পাদক, প্রবন্ধকার, গবেষকরাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাশ্বেতা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কবীর সুমন, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্ত, মইনুল হাসান, আহমদ হাসান ইমরান, গোলাম রাশিদ, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, খাজিম আহমেদ, জয়ন্ত ঘোষাল, সুমন ভট্টাচার্য, দেবাশিস পাঠক, জয়ন্ত সিংহ প্রমুখ বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, যাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। পঁয়তাল্লিশ ফর্মার মূল্যবান গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের গবেষক ফারুক আহমেদ। ‘উদার আকাশ’ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে।

মোস্তাক হোসেন এক বর্ণময় ব্যক্তিত্ব, যিনি সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন। গড়ে তুলেছেন ‘পতাকা’ সাম্রাজ্য। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যে সীমায়িত হয়নি তাঁর জীবন। সমাজসেবা আর শিক্ষা প্রসারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হয়ে উঠেছেন আইকন। সমস্ত রকম প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে জনকল্যাণ ও আর্তজনের সেবায় এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
এমন মাপকাঠিতে আগে কখনওই শুধু বাঙালি কেন কোনও ভারতীয়ও এমন দারিদ্রপীড়িত অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করে মোস্তাক হোসেনের মতো শিল্পপতি হননি। মোস্তাক হোসেন তাঁর সমগ্র জীবন জাতি এবং বাঙালির সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সেবায় ব্যয় করেছেন।