মহঃ নুর হোসেন জমাদার 

মাস খানেক আগের কথা | মহানগর থেকে অনেকটাই দূরে ঘুটিয়ারী স্টেশন | ক্যানিং  
লোকাল এর ওপর দিয়ে ছুটে চলে | এই দিকের মানুষ দের 
মহানগরে যাওয়ার এটাই অন্যতম মাধ্যম অথবা ভ্রমণ 
পিপাসু মানুষেরা সুন্দরবন যাওয়ার জন্য বেছে নেয় এই পথটাকে | ঘুটিয়ারী আমার প্রিয় বন্ধুর বাড়ি | প্রায়ই যাওয়া আসা করি কিন্তু ওই দিনটি ছিল একটু অন্য রকম |

             পড়ন্ত বৈকাল সমগ্র 
ঘুটিয়ারী স্টেশন লোকে লোকারণ্য | কেউ শহর থেকে ফিরছে কেউবা শহরে দিকে রওনা দেবে | আমি স্টেশনের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলাম | আমার পাশে একটি ব্যাক্তি ফুচকা এবং তার ঠিক ডানপাশে এক ব্যাক্তি ঘুগনী আর আলুকাবলির দোকান দিয়েছে | রমরমা বিক্রি | ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা এবং সময় কাটানোর আছে এই সব দোকান গুলো |
আমিও গেলাম ফুচকা খেতে |

             ফুচকাটা বেশ ভালোই বানিয়েছিল দুই এক বার তারিফও করলাম এরই মাঝে আমার চোখ দুটি বিঁধে 
গেলো স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি  পথোশিশুর দিকে তাদের সজল চোখ কেবল চেয়ে ছিল 
খাবার গুলোর দিকে | আমি ঠিক বলতে পারবো না তার তখন কি ভাবছিলো অথবা তাদের মনের মাঝে কত প্রশ্ন 
তাদের ব্যাস্ত করছিলো | আমি তাদের ডাকলাম কিনে দিলাম 
তিনটি গুগনীর প্লেট |মাত্র পনেরো টাকা আমাকে দিতে হলো | টাকা দিয়ে এগিয়ে এলাম পূর্বের জায়গায় | শব্দ কোরে ট্রেন ঢুকলো |ট্রেনে ওঠার আগে একবার তাকা লাম ওদের দিকে | দেখ লাম এক অতি পবিত্র হাঁসি তাদের মুখে উপচে পড়ছে | আমি আকাশ পানে চাইলাম পনেরো টাকায় আমি এতো সুখ ও আনন্দ আমি আগে পাইনি |