গোলাম মোর্তজা, ।


আই বিএন বাংলা। --

-উপরের প্রশ্নটি দেখে আপনাদের মনে অন্য একটি প্রশ্ন উঁকি মারছে সেটা হলো, তাহলে কি শুধুই নারীরা শিক্ষা গ্রহন করবে? 

না কখনোই না,পুরুষ ও নারী উভয়ই শিক্ষা গ্রহন করবে এটা তাদের মৌলিক অধিকার। 

আমি বলতে চাইছি নারী ও পুরুষ উভয়েই জীবনের প্রথম শিক্ষা গ্রহণ করে তার মায়ের কাছে,অর্থাৎ একজন নারীর কাছ থেকে।তাহলে সমাজ তৈরিতে গুরুত্ব কার বেশি?চলুন আলোচনা করা যাক সমাজ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে আমরা পাবো সৎ মানুষের জগৎ।




আর সৎ মানুষ হওয়ার জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা/নীতি -শিক্ষা, এই নীতি শিক্ষা শিশু প্রথম পায় তার মায়ের থেকে। 

শিশু তার মায়ের সঙ্গেই গাঢ় ভাবে মেসে এবং মায়ের চরিত্রকে দেখে অনুকরণ করার চেষ্টা করে।

প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মাদ(সা:আ:) বলেন 'একজন পুরুষ শিক্ষা অর্জন করলে সে নিজেই শিক্ষা অর্জন করলো,একজন নারী শিক্ষা অর্জন করলেই গোটা পরিবার শিক্ষা অর্জন করে'। 

আপনাদের কি মনে আছে, ঐতিহাসিক নেপোলিয়ন বলেছিলেন 'একজন শিক্ষিত মা ,১০০জন শিক্ষক এর সমান'।

শিক্ষিত মায়ের শিশুরা সুশিক্ষাই পায়, নাহলে সুশিক্ষা থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়।কারণ শিশুরা হলো কাদার গোলক,ওদের যেমন শিক্ষা দেবেন তেমন শিখবে।

অর্থাৎ নারীরা শিক্ষিত হলে তাদের শিশুরা সুশিক্ষা পেয়ে দেশের নাগরিক হয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়, আর তা নাহলে শিশুরা কুশিক্ষা পেয়ে সমাজকে অবনতির দিকে ঠেলে দেবে। 

আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন নারী শিক্ষার গুরুত্ত্ব।তাই সমাজ গঠনে নারী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।তাইতো পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন।

আসুন আমরাও সকলে খেয়াল রাখি নারীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।