,আই বি এন বাংলা।
---বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন মানুষের একটা গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্য হয়ে উঠেছে, আর স্মার্টফোন ছাড়া নতুন প্রজন্ম চলতেই পারে না।এটা যেন তাদের একটা শারীরিক অঙ্গে পরিণত হয়েছে।আপনারা বলবেন ফোন কি করে শারীরিক অঙ্গ হয়?
আসুন আলোচনা করা যাক,তরুণ-তরুনী রা প্রতিদিন নিজের মনের ইচ্ছা, দুখঃ, আনন্দ ইত্যাদি বাড়ির লোকের কাছে ভাষায় প্রকাশ না করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটস আপ ইত্যাদি 'সামাজিক মাধ্যমে' ম্যাসেজের আকারে প্রকাশ করে।
এই প্রজন্মের আর প্রত্যক্ষ স্বশরীরে যোগযোগের ইচ্ছা,আড্ডা দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করার মানসিকতা নেই বললেই চলে,এদের আড্ডা স্মার্ট ফোনেই সীমাবদ্ধ।
এখন বিবাহ থেকে জন্মদিন অধিকাংশ নিমন্ত্রণ সারা হয় স্মার্টফোনের ম্যাসেজ এর মাধ্যমে।একই পরিবারের সদস্য দের মধ্যে রোজকার আলাপচারিতার পরিসর ক্রমশ: কমে আসছে।
তাহলে বলুন এটা নতুন প্রজন্মের শারীরিক অঙ্গ নয়তো কী তাহলে?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় জানা গেছে,নতুন প্রজন্মের একাংশের মধ্যে একাকিত্ব, হতাশার মাত্রা বেশি।কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন,অতিরিক্ত সময় ধরে অনলাইনে থাকা, চ্যাটিং,ফেসবুক ইত্যাদি করা।
এই ফোন অনেক সমস্যার সমাধান করেছে,কিন্তু নতুন করে সামাজিক-মানসিক সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।এর ব্যবহার ভালো কাজের থেকে খারাপ কাজে বেশি হচ্ছে।
আমাদের উচিৎ ১৮ বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের স্মার্টফোন না দেওয়া।
গবেষকরা 'নোমোফোবিয়া'নামক এক অদ্ভুত রোগের আবিষ্কার করেছেন, এটার অর্থ ' নিজের মোবাইল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়'।
ভারতবর্ষ সহ সারা বিশ্বে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে,তাই মনোবিজ্ঞানীরা এর জন্য খুবই চিন্তিত।
শেষে বলা যায় নতুন প্রজন্ম স্মার্টফোনের মায়াজালে জড়িয়েই যাচ্ছে।এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন কী করে তাদের এই মায়াজাল থেকে বের করা যায়।
0 Comments