-আসিয়া খাতুন।

   দিলে যৌবন ইশ্বর,থাকি ফুটপাতে, 

সেপ্টিপিনে ঢাকা ইজ্জতে বারবার হানা। 

প্রতিটি রাত আমাবস্যা; পূর্ণিমা সন্ধ্যারাতার খোঁজে,শহরের অলিগলি খুঁজেছি তারে; করে যদি কেহ গৃহের রানী মোরে। 

বরণ ডালা সম সাজাতাম সংসারে; ধুঁয়ায় ভরা উনুনে ফুঁকে রাঁধিতাম ভাত, বলতাম হেসে হেসে ননদের সাথে কথা দুটি,

 বিকেলে উকুন তুলে ছুটি,সন্ধ্যায় সেকতাম গোটা কয়েক রুটি। 

খেতে খেতে স্বামী একবার নাম ধরে ডাকবে মোরে। 

গুটি গুটি হেঁটে খোকা এসে ডাকবে মোরে। 

এই তো তারপরে পৃথিবী থেকে চলে যাবো, 

কিন্তু কবে পুরবে এ আশা? দেওয়ালে কি সব মিথ্যে নারীস্বাধীনতার অধিকার।

 আমাকে বাঁচাও রাজপ্রাসাদের বাইজী ঘর থেকে। 

আমাকে বাঁচাও বেশ্যা গৃহ থেকে আমি বাঁচতে চাই মানুষ হয়ে আমাকে বাঁচাও পশুদের হাত থেকে। 

আমি বাঁচতে চাই একজন গর্বিত নারী হয়ে