গোলাম মোর্তজা, 

আই বি এন বাংলা ---


দেশ তো স্বাধীন হলো,হ্যাঁ দেখতে দেখতে ৭৩বছর কেটে গেল কিন্তু দেশের সাধারণ অসহায় দরিদ্র নাগরিক তারা কি সেই পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত? 

না পরাধীনতার সেই ছাপ দরিদ্রদের উপরে রয়েই গেছে।আপনি বলবেন কেন,দেখুন একটি সমীক্ষায় বলছে আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের আবাসন শোচনীয়,যদিও সরকার তাঁর সদ ইচ্ছাই আবাসনের প্রকল্প আনেন কিন্তু তাতে পাইয়ে দেওয়ার নামে চলে রাজনীতি সমগ্র দেশ জুড়ে। 




তাহলে তারা কী অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না?আবার দেখুন আমাদের দেশে ভিক্ষা বৃত্তি কবে বন্ধ হবে?বিভিন্ন উৎসবে,মেলায়,মসজিদে মন্দিরে,গির্জায় বিশেষ বিশেষ দিনে ভিখারীদের লম্বা লাইন দেখে মনে হয়'ক্ষুধার রাজ্য কেবলই গদ্যময়' ।

দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষের ফ্যান -ভাতের লড়াই এখনও শেষ হলো না।এই ক্ষুধার্ত মানুষেরা সেদিন মনেহয় একটু মুচকি হেঁসে ছিলেন,যখন ২০১৩ সালে সংসদে পাস হলো'খাদ্য সুরক্ষা বিল'।



তারা ভেবেছিল এবারে হয়তো দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের কথা ভাবতে হবে না।

সরকার দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষকে 'ভর্তুকিযুক্ত' খাদ্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল এই বিলে,কিন্তু কই সেই খাদ্যবস্তু? রাজনৈতিক কারণেই হোক বা যেকোনো কারণে সরকারের সদ ইচ্ছা থাকলেও 'খাদ্য' গোডাউনে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে তবুও ক্ষুধার্তরা পাচ্ছেন না হায় ভাগ্যের কি পরিহাস! হু(who) বলছে দৈনিক প্রতিটি মানুষের কম করে ২৫০ গ্রাম খাদ্যের প্রয়োজন,কিন্তু তা আর হচ্ছে না নেতা-নেত্রীদের ফাঁকা আওয়াজে।তাঁরা রাজনীতি করতে করতে ভুলেই গেছেন,'খাদ্যের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার'।তাই দেশের দরিদ্রদের প্রশ্ন কবে তাঁরা ক্ষুধার যন্ত্রনা থেকে আরোগ্য লাভ করবেন।