আই বি এন বাংলা,
-----হ্যাঁ, খুব কষ্টের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি,শুধু আমি কেন যেকোনো জ্ঞানী মানুষ এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরেছেন।
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তার বাবুর পরামর্শ নিতে হয়,ঠিক তেমনই যেকোনো দেশের উন্নতির জন্য নাগরিকদের বিশেষ বিশেষ নিয়ম মেনে চলতে হয় যেটাকে আমরা সংবিধান বলে থাকি।
আমরা কি একবারও ভেবেছি? এই সংবিধান রচনা করতে আমাদের তৎকালীন নেতা নেত্রীদের কত কষ্ট করতে হয়েছে,প্রায় তিন বছর ধরে চলেছে এই সংবিধান গড়ার কাজ।
আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, আজও সংবিধানের দিকে তাকিয়ে আছে নির্যাতিত ,নিপীড়িত,পিছিয়ে পড়া নাগরিকরা।কারণ এই পবিত্র বইটিই দিতে পারে আখলাক,পেহলু,তাবরেজ,উন্নাও, দলিত,আদিবাসীদের উপরে আছড়ে পড়া ধর্মেরনামে ঠিকাদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার।
আমরা সবাই জানি নদীর দুই পাড়ের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে সেতু ,ঠিক তেমনই সংবিধান আমাদের দেশের হাজার হাজার জাতি,ভাষার,ধর্মের ইত্যাদির মানুষের মাঝে তৈরি করে সম্প্রীতির সেতু,আর যার কারনে আমাদের দেশ বিশ্বের দরবারে 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' নামে পরিচিত। কিন্তু বড় দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আজকের ভারতে কি 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' দেখা যাচ্ছে?আজকে আপনি বলুনতো সরকার কি করছে? তার তো কাজ হলো জনগণের সমস্যা গুলো সমাধান করা,তা না করে সমস্যার পর সমস্যা তৈরি করছে।
আপনারাই বলুন দেশের অর্থনৈতিক অবস্তা কতটা ভালো?মানুষের কাজ নাই, শিক্ষিত বেকার দিন দিন বাড়ছে,দেশের কুড়ি শতাংশেরও বেশি মানুষ দুবেলা ঠিক মতো খেতে পারছেন না।
সরকারের এ অবস্থায় ভূমিকা কি? সমাধান না করে নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্য ধর্মীয়,জাত-পাতের প্রাচীর তুলে জনগণের মধ্যে ঝামেলা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
একটা জিনিষ সরকারে মনে রাখা উচিত শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না।ধিক্কার জানাই এই ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যাবস্থার, আজও সংবিধান চিৎকার করে বলছে দেশের জনগণকে ন্যায়ের পক্ষে থাকার জন্য,কিন্তু হলে কি হবে রক্ষকই ভক্ষকে পরিণত হয়েছে।
সাধারণ মানুষই এর জবাব দেবে,আমাদের সকলেরই প্রতিজ্ঞা করা উচিত,আর কোনরকম প্ররোচনায় পা না দিয়ে দেশের স্বার্থে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিহত করে"সংবিধানের"মর্যাদা প্রতিষ্টা করা।
আমাদের মহান সংবিধান আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে সুশাসক প্রতিষ্টা করার আশায়, যাতে করে আবার'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য' ফিরে আসে।
1 Comments
দেহ ব্যবসা, মদের ব্যাবসা, সমকামিতা কে বৈধতা দেওয়া বই কি করে পবিত্র হয়?জানতে চাই
ReplyDelete