এর কোন লক্ষ্য নাই ।কোন উদ্দেশ্য নেই।
কেন আমি শিক্ষা গ্রহন করব তার কােন সদুত্তর নেই ।
শিক্ষা গ্রহন করে কি হবে তা শিক্ষকও বলতে পারেন না। ইংরেজ বলেছে কেরানি হবে। বর্তমান শিক্ষা তাহাও বলতে পারেনা ।
এক অদ্ভুত সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। শিক্ষার লক্ষ্য স্থির নেই বলে শিক্ষিতেরও লক্ষ্য স্থির নেই।
বর্তমানে শিক্ষিত ব্যক্তিগনের আচার আচরন দেখলে মনে হয় , ইহারা মনুষ্যেতর কোনো জীব হবে।
*
*এ রাজ্যে স্কুল পাঠ্যপুস্তকের কথাই ধরুন । পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিটি বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক একটু মন দিয়ে দেখবেন।
কোথাও কিছু শিখবার নেই। শিক্ষার নামে information এর জঙ্গলে তাকে ঢুকিয়ে দিয়ে আমরা মজা দেখি ।
সেই জঙ্গলে টিচার , প্যারাটিচার, পার্ট টাইম টিচার, প্রাইভেট টিউটর প্রভৃতি শ্বাপদ আপদের পাল্লায় পড়ে প্রান ওষ্ঠাগত করে কোনো রকমে পড়ি মরি করে বের হয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।
শুধু তাই নয় , পুস্তকের মধ্যে যা আছে, তা শিক্ষার্থীর আগ্রহে জল ঢেলে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। আজ থেকে দশ বছর পূর্বের পাঠ্যপুস্তক গুলিতে এমন নির্বিকল্প সমাধির সোপান ছিলনা।
*
*এবার মাতৃভাৃষার কথা বলা যাক। পূর্বের কথিত প্রগতিশীল সরকার তো "মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ" বলে ছাত্রছাত্রীদের আমুত্যু মাতৃদুগ্ধ পান করিয়েই গেল।
ফলে শিশু চিরকাল শিশু হয়েই থেকে গেল। তাকে আর কোলে তুলে নাচিয়ে লাল ললিপপের লোভ দেখিয়ে দেশের দুধ-সর- ছানা-মাখন যেটুকু ছিল নেতারা সাবাড় করে দিল ।
সর্বহারা তো সর্বহারা হয়েই রয়ে গেল । ইহার আর এক নাম বৈজ্ঞানিক মার্কসবাদ। বস্তুতঃ এর শ্লোগান ছিল- "ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আমরা খাব তোমরা বাদ"।
*
*তাহারা তো বস্তুতঃপক্ষে সর্বহারাকে সর্বহারাই করেছিল। কারন বৈজ্ঞানিক মার্কসবাদ এর বেশী কিছু করতে পারে নি ।
অার পরিবর্তিত সরকার পুরোপুরি মা,মাটি,মানুষ করে তবেই ছাড়ল। তার হাজার হাজার নমুনা আজকের স্কুল পাঠ্যপুস্তকের পাতায় পাওয়া যাবে।
এই পাঠ্য পুস্তক পেতেই মাতৃভাষা শিক্ষার সপিন্ডীকরন হচ্ছে। একটিও গদ্য বা পদ্য পড়ে আজ আর শিশুরা আনন্দ পায় না।*
0 Comments