উনি হতে পারতেন ভর - গ্রীষ্মে ছায়া,
 শীতের রোদ্দুর উনি হতে পারতেন—
 অনাহারীদের মুখে খাবারের ঠোঙ্গা।
 দারিদ্রকে ভাগানোর সক্রিয় হাত—
 বেকারত্ব সাফাইয়ের এক খান ঝাঁটা!
উনি হতে পারতেন দাঙ্গা-হাঙ্গামার
 ফণা -তোলা- পরিবেশে মিষ্টি আলিঙ্গন 
মহাপ্রভু চৈতন্যের; বিবেকানন্দের 
বিশ্ব – সমন্বয়-বাদী বক্তৃতার ডাক।
 উনি যদি ভাবতেন ,হতে পারতেন 
 মানুষের স্বপ্ন -কেনা  এক সদাগর।

কিন্তু উনি যা হলেন তা খুবই অদ্ভুত
যা -কিছু সুন্দর, তার কাছে -তা অচ্ছুত!
তাঁর—
কুমিরের মতো পেটে খিদে আছে আর 
ময়াল সাপের মতো শিকারের খোঁজ ।
শ্মশান হয়ে ডাকেন হাত-ছানি দিয়ে
ভ্যানিস করে ফেলেন ম্যাজিকের ফুঁয়ে!

ভবিষ্যতে তিনি আর কী করবেন ?
মানে ,সে কী করবে?
 তখনই হুংকার দেবে হাড়হিম করে 
তখনই সান্ত্বনা দেবে দুই- হাত ভরে ।
মারবে--- বাঁচাবে ---কিন্তু আবার মারবে
 আবার বাঁচিয়ে হবে যুগাবতার !
গোঁফের আড়ালে ঠোঁটে হাসিটি থাকবে – 
মনের আড়ালে তবু চাকুটি রাখবে ।
চোখের অপাঙ্গে কিছু লাজ থাকবে মিশে – 
তখনই তা লাল হবে প্রতি - হিংসা -বিষে ।
হিটলারের রূপ ধরে স্বেচ্ছাচারী হবে –
নেপোলিয়ানের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী লোক ।
অথবা পুরান- বইয়ে দুষ্ট রাবণের
 সীতা -হরণের কলঙ্কিত হাত হবে।
 মহাভারতের সেই আস্ফালন -কারী 
বদমাশ দুর্যোধন কিংবা তার ভাই!

যুগে- যুগে এইভাবে তার জয়-রথ 
ছুটে চলে, মাথার মুকুটে লেখা “জিত”!
 শুধু ভাগ্যটা মাঝেমাঝে ক্ষেপে যায়--
 জনগণ- জনার্দন তাকে করে চিৎ!!