ঢেঁকিতে গাঁয়ের বউ পাড় দিতো
সকাল -বিকাল।
শব্দের ঝংকার তুলে' হাসিমুখে--
বের হতো চাল।
চাষির গরুর গাড়ি এক- ছুটে
চ'লে যেতো মাঠে ।
কুমোরের গাড়ি যেতো হাঁড়িকুড়ি
কাঁধে ক'রে হাটে।
ছেলেরা দুপুর হ'লে খালে -বিলে
কাটতো সাঁতার।
মেয়েরা নুপুর- পায়ে, রোদে দিতো
আমের আচাড়।
কাঁঠালের ছায়া- জুড়ে দলবেঁধে
'কিৎ-কিৎ' খেলা ।
হাডুডু'র ডাক দিয়ে কিশোরের
কেটে যেতো বেলা।
_________________
খোলা -তে লাফাতো, খই-মুড়ি- ছোলা
ঘুরে- ঘুরে নেচে'।
সেইসব সুমধুর শব্দ আজ
আর নেই বেঁচে।
যেখানে পুকুর ছিলো, সেইখানে
ব'সে গেছে ঘর !
আজ তাই সেই বুনোহাঁস গুলো
হয়না মুখর ।
আজ আর সাঁঝবেলা ঠাকুমা'র
মুখে গল্প নেই।
হারিকেনে আলো জ্বেলে' পড়াশুনা
ফুরোলো কবেই!
___________________
পায়ের শব্দ -কি আর শোনা যায়
কোনো পথিকের?
হাতে রাখালিয়া- বাঁশি, মরমিয়া
সুর অতীতের?
জানি, সেই শব্দগুলো নেই, তবে
একদিন ছিল ।
লৌহ -দানবেরা এসে, গপাগপ
সব গিলে নিলো!
___________________
এর নাম 'যান্ত্রিকতা', তাণ্ডবের
শব্দে ভরপুর !
কী-ক'রে শোনাবে তাই,আন্তরিক
টাপুর -টুপুর !
।।সমাপ্ত।।
0 Comments