ফেটে- ফুটে গ্রীষ্মকালে
ফুটি-ফাটা হই ।
তবু ঘাস -গাছ- লতা ,
বুকে ধ'রে রই ।
তোরাও আমার ছেলে,
ওরাও -তো তাই ।
তোদের দুজন-কে 
আমি-ই খাওয়াই।
আম -লিচু- তরমুজ
আমারি-তো দান !
তাল -কাঁঠালের মাড়ি
অমৃত-সমান!
আমি দিলে, কচি- শসা
নুন-দিয়ে খাস।
নালতে শাকের ঝোলে
আঙুল ডোবাস্ !
আমার দানের ঘাসে
বেঁচে থাকে গাই ।
তার থেকে 'দুধ' নিয়ে,
তোদের বাঁচাই ।
_________________
তোরা কিন্তু গাছগুলো
বেচে'-কেটে" খেলি ।
আমার বুকের ছায়া
মুছে' দিয়ে গেলি !
কথা শোন্ , বেশি- বেশি--
ক'রে লাগা গাছ।
আমার প্রানটা বাঁচা,
নিজেরা-ও বাঁচ!
_________________
বর্ষার বাঁধ-ভাঙা---
থৈ- থৈ জলে !
আমি থাকি বন্যার
দু -পায়ের তলে!
আমার মানিক- সোনা
ঘাস -গাছ -লতা!
নালিশ জানিয়ে বলে
দুর্দশার কথা !
ঘর-বাড়ি ভেঙে গেলে'
তোরাও কাঁদিস ।
আমিও তখন কাঁদি,
খবর রাখিস ?
নদী -পাড় -ভেঙে' জল
ঢোকে হুহু ক'রে !
কারণ বৃক্ষ নেই---
বাঁধের উপরে।
ক'খানা যদি-বা ছিলো
করলি লোপাট !
সব নদী-কূল যেন ,
শ্মশানের ঘাট !
পরিনাম ভেবে' তোরা
আরো গাছ লাগা।
প্রকৃতির হাত ধ'রে 
ভয়-ভূত ভাগা!
_________________
ভালো থাক্ , সুখে থাক্ ---
তোরা দুইজনা !
আমি দিনরাত করি---
এই প্রার্থনা!
তোদের সুখে সুখী---
আমি 'মা-মাটি' !
মিলে-মিশে গ'ড়ে- নে ----
এই বুকে ঘাঁটি!
       ।।সমাপ্ত।।