।।ছোটদের কবিতা।।
নীল-সবুজ দশটা ডিমে
হাঁস দিয়েছে তা ।
তা- থেকে আজ বের হয়েছে
দশটা হাঁসের ছা ।।
দুষ্টু -কচি- ছানাগুলো
কিচিরমিচির করে ।
'আয়না কিনে দিতেই হবে',
বায়না ভারি ধরে।।
"ও হাঁস -মা ! ওহাঁস-মা!
আয়না কিনে দাও---
তোমার ছানা কেঁদে মরুক
তাই -কি তুমি চাও"?
___দাঁড়ে ছিল ময়না পাখি
বললো গলা হেঁকে।
বিল্লী- খুকি করুন সুরে,
বলছে সে -ও ডেকে':
"চিকন- চিকন সোনার ছানা
তুলোর মতন গা---
বায়না শোনো, আয়না আনো
ওগো হাঁসের মা"!!
আতাগাছের বুলবুলিটা
সয়না তার-ও ব্যথা।
'আয়না ওদের দিতেই হবে',
ফসকে গেল কথা !----
"গোমড়া-মুখী ,আগুন -খাকি
কয়না কথা রে!
ও হাঁস মা! আছো কেন
এমনি চুপ ক'রে" ?
খানিকবাদে ভারী গলায়
সে বললো হেঁকে:
বাছারা শোন্ , খুদ খেয়ে নে
খাসনি কখন থেকে !!
ঐ -যে দূরে বাঁধের ধারে
তাল -খেজুরের গাছ।
ঐ -খানেতে দিঘির জলে
ঢেউ জুড়েছে নাচ!!
লাল -পদ্ম ফুটে' আছে
শালুক আছে শুয়ে।
একটু বাদে ওই জলেতে
আসবো তোদের থুয়ে।
কাজল -কাজল দু চোখ তুলে'
দেখবি নিজের মুখ ।
দিঘির জলের আয়না পেলে
ভ'রবে তোদের বুক!!
সোনা আমার, মানিক আমার
রাগ ক'রো-না, ছিঃ!
ডুব দেওয়াবো, আয়না দেবো
আর দেবো কী?
আরো কিছু চাস যদি তো
গুগলি দেবো আর--
দেড়কি পুঁটির সঙ্গে তোদের
শেখাবো সাঁতার"!!
খিলখিলিয়ে উঠলো হেসে
দশটা রাঙ্গা- ছা।
বললো :'মাগো!জলদি চলো
দেরি-যে সয়না !
কাজল কালো ঐ দিঘি- তো
আসল আয়না!
দশ ভাই -বোন আর আমরা
নকল চাই না'!!
।।সমাপ্ত।।
0 Comments