এক পশলা রহমত ঝরুক তোমার চারপাশ জুড়ে
            দু'হাত ভরে চুমে যাও এখনি আকন্ঠ পানে,
ব্যস্ত জীবনে সুমধুর আবেশে চোখ বুলিয়ে নিয়ো
        নিস্তব্ধ গ্যালাক্সিতে সাজানো আরশ বাগানে।

সাজিয়ে নিয়ো ধীরে আরো ধীরে সোনালী সোপানে
       ভুলের চোরাবালি সরিয়ে ফেলো মেঘলা মনে,
ঝকঝকে পূবালী রৌদ্দুর আসহাবে কাহাফের মতো
     নীরবে নিভৃতে পরশ বুলাবে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

আশার প্রদীপ জ্বালো গ্রাম, শহরের প্রতি ঘরে ঘরে
        খাদ্য, অন্ন, বাসস্থান আর বুভুক্ষু মানুষের জন্য,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা বুলিয়ে দিতে এগিয়ে চলো
     ভ্রাম্যমান বিদ্যার তহবিলের পশরায় হবে অনন্য।

কুরআনের বাণীর চিরন্তনী বৃক্ষ ডালে সাজিয়ে দিয়ো
        বাসনার সুবাস ছড়ানো জ্যোতির্ময় হৃদয়ের কায়া,
অপূর্ণ জগত সতত স্বপ্ন রাতে যিকিরের তানে জাগবে
        ধীরে ধীরে আনবে তুলে প্রশান্তঘন সোনালী ছায়া।

কভু আশঙ্কা, কভু আশা নিয়ে স্বপ্নভাঙা সময়ের ক্ষণে
         নির্জন নিহারিকার পথে চলো নেই কোনো সংশয়,
শত ঝঞ্ঝার মাঝে ঈমানের পশরা সাজিয়ে প্রলয় মাঝে
         পথহারা পথিকের উন্মুক্ত কাননে দাওগো অভয়।

এই ঘনঘোর আঁধার ঘেরা হতাশাঘেরি মহাশূন্য পরি
        নিশঙ্কোচে করে যাও তাঁর ভালোবাসার ধ্যান,
তিল তিল করে আঁধার সরিয়ে বৃষ্টি ভেজা জ্যোৎস্নায়
               প্রশান্তির পশরা সাজিয়ে খুলিবে নয়ান।