ভারতের ইতিহাস থেকে আমরা দেখতে পায় যে মুসলিমরা এদেশের নির্যাতিত দলিতও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিল।নির্যাতিত আসহায় দলিত ও মানুষরা ও মুসলিমদেরও পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।মুসলিম চিন্তাবিদদের মতে কুরআনে বর্নিত আয়াতই এই কাজে মুসলিমদের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে ছিল। কেন না কুরআনে উল্লেখ আছে।
তোমাদের কী হলো, তোমরা আল্লাহর পথে অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য লড়বে না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতিত হচ্ছে? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও।
(৪: আন-নিসা:৭৫,)
মুহাম্মদ বিন কাশিম ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ)
সমাজঃ
৭১২ খ্রীস্টাব্দে দাহিরের শাসনকালে ব্রাহ্মণ্যবাদের যে প্রতিপত্তি চলছিল তার ফলেই নিম্নবর্ণের মধ্যে অসন্তোষ জাগরিত হয়েছিল এবং মহম্মদ বিন কাশিমের ঘোষিত সামাজিক সাম্যের ফলেই নিম্নবর্ণের মানুষের অসন্তোষ দূরীভূত হয়। (তেসলিম চৌধুরী ভারতের ইতিহাস আদিমধ্য যুগ থেকে মধ্যযুগে উত্তরণ পৃষ্ঠা ৬২, ৬৫০-১৫৫৬ প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স ৩৭ এ, কলেজ স্ট্রীট, কলকাতা ৭৩)
মুহাম্মদ ঘুরী ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ)
সমাজঃ
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়, ব্রহ্মণ্যবাদের সামাজিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবার জন্য দেশের বৃহত্তম জনসমষ্টির একটা অংশ তুর্কিদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। তা না হলে আয়তনে গজনী ও ঘুর রাজ্য অপেক্ষা বৃহত্তর না হলেও সমান এবং জনবল ও প্রাকৃতিক সম্পদে গজনী ও ঘুর রাজ্য অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর রাজপুত জাতির সকলকেই একে একে তুর্কি বাহিনীর নিকট পরাজয় বরণ করে নিতে হত না। সাফল্যের পথে কঠোর জাতিভেদ প্রথাই ভারতীয়দের চরম অন্তরায় সৃষ্টি করেছিল।
(তেসলিম চৌধুরী ভারতের ইতিহাস আদিমধ্য যুগ থেকে মধ্যযুগে উত্তরণ পৃষ্ঠা২৪২, ৬৫০-১৫৫৬ প্রগ্রেসিভ পাবলিশার্স ৩৭ এ, কলেজ স্ট্রীট, কলকাতা ৭৩)
ইকতারদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বকতিয়ার খলজি ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ)
সমাজঃ
লক্ষণ সেনের বিরুদ্ধে বখতিয়ার খিলজীর বিজয় কোন আকস্মিক ঘটনা ছিল না । জনগণের দীর্ঘকালীন মুক্তি সংগ্রামের বিজয় সূচিত হয়েছিল এ ঘটনার মাধ্যমে । ইসলাম প্রচারক সুফি-দরবেশ-মুজাহিদগণ এ দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী সেন রাজত্বের বিরুদ্ধে যে নিরন্তর সংগ্রাম পরিচালনা করছিলেন,সে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ইসলামের প্রতি জনগণের সমর্থন গড়ে উঠেছিলো । জনসমর্থনের সে ভিত্তির ওপরই সম্পন্ন হয়েছিলো বখতিয়ার খিলজীর বিজয় । এ বিজয় জনগণের প্রত্যাশাকে কতখানি ধারণ করেছিলো,তার উল্লেখ পাওয়া যায়
ডক্টর দীনেশচন্দ্র সেনের বর্ণনায় । তিনি লিখেছেন যে,বৌদ্ধ ও নিম্নবর্ণের হিন্দুরা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের আধিপত্য ও নির্মূল অভিযানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে বাংলার মুসলিম বিজয়কে দুবাহু বাড়িয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলো । (বৃহৎ বঙ্গ,পৃষ্ঠা৩৩৩)
ড. দীনেশ চন্দ্র সেন লিখেছেন, “বৌদ্ধগণ এতটা উৎপীড়িত হইয়াছিল যে তাহারা মুসলমানদের পূর্বকৃত শত অত্যাচার ভুলিয়া বিজয়ীগণ কর্তৃক ব্রাহ্মণ দলন এবং মুসলমান কর্তৃক বঙ্গবিজয় ভগবানের দানস্বরূপ মনে করিয়াছিল । শূন্যপুরাণের ‘নিরঞ্জনের উষ্মা’ নামক অধ্যায়ে দেখা যায়-তাহারা (বৌদ্ধরা) মুসলমানদিগকে ভগবানের ও নানা দেবদেবীর অবতার মনে করিয়া তাহাদের কর্তৃক ব্রাহ্মণ দলনে নিতান্ত আনন্দিত হইয়াছিল ।….ইতিহাসে কোথাও একথা নাই যে সেনরাজত্বের ধ্বংসের প্রাক্কালে মুসলমানদিগের সঙ্গে বাঙালি জাতির রীতিমত কোনো যুদ্ধবিগ্রহ হইয়াছে । পরন্তু দেখা যায় যে বঙ্গবিজয়ের পরে বিশেষ করিয়া উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে সহস্র সহস্র বৌদ্ধ ও নিম্নশ্রেণীর হিন্দু, নব ব্রাহ্মণদিগের ঘোর অত্যাচার সহ্য করিতে না পারিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণপূর্বক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়াছে” (ড. দীনেশ চন্দ্র সেন, বৃহৎ বঙ্গ, পৃষ্ঠা-৫২৮)
তিতুমীর ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ)
সমাজঃ
তিতুমীর বা মীর নিসার আলি সময় নিন্ম বর্নের হিন্দুরা সবসময় ব্রাহ্মণদের কতৃক নিপীড়নের শিকার হতো। মুসলমানরাও ব্রাহ্মণ জমিদারদের রোষানল থেকে রেহায় পায় নি। ব্রাহ্মণরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ্য জমিদার। ইংরেজদের প্রিয়পাত্র ছিল তারা। বাংলার মুসলিমদের নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দাবিয়ে রেখে ইংরেজদের তুষ্ট রাখা'ই ছিল জমিদারদের প্রধান কাজ। এই ব্রাহ্মণ্যবাদী জমিদার গোষ্ঠী ও ইংরেজ দের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিতুমীর নিম্নবর্ণের দলিত ও মুসলিম কৃষকদের নিয়ে আন্দোলন করেছিল।
টিপু সুলতান ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ)
সমাজঃ
ব্রাহ্মন্যবাদী দের শাসনে দলিত মহিলা দের স্তন উন্মুক্ত রাখার প্রথা ছিল , প্রথম ব্যাক্তি টিপু সুলতান যেটাকে রদ করেন ফলে সংঘী দের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং ৮০০ সংঘী নিহত হয়।
আজকে টিপু সুলতানের এই পদক্ষেপের জন্য ৮০% মহিলা স্তন ঢাকতে পারছে।
**** স্তন কর বাতিল করেন টিপু সুলতান কী বলছে গুগল --
https://www.google.com/search?client=ms-android-vivo&sxsrf=ALeKk00nr0jNwoVGFdvJTmYXZ7w_J_Rl8A%3A1589108028638&ei=PN23XszFJoPcrQGaiZpQ&q=breast+tax+stop+tipu+sultan&oq=brest+tax+stop+tipu+sultan&gs_lcp=ChNtb2JpbGUtZ3dzLXdpei1zZXJwEAEYADIECB4QCjoECAAQRzoHCCMQsAIQJzoFCAAQzQI6BAgAEA1Q7j9Y0FZgrHdoAHABeACAAZ0CiAGvDpIBAzItN5gBAKABAQ&sclient=mobile-gws-wiz-serp
*** স্তনকর বাতিলে টিপু --
https://thecognate.com/how-tipu-sultan-helped-dalit-women-regain-their-honour-from-upper-caste-oppression/
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও দলিত (নিম্নবর্ণের মানুষ) সমাজঃ
আবুল কাশেম ফজলুল হক ছিলেন সাধারণ মানুষের ও দরিদ্র কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি প্রথম বাংলায় 'দলিত ও মুসলিম ' সরকার গড়ে ছিলেন।হক সাহেব আজীবন হিন্দু - মুসলিম সম্প্রতি স্থাপনে কাজ করেছেন।
গরীব, মেহেনতি, কৃষক প্রজাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তিনি সর্বদা অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনুভব করতেন এবং কী ভাবে এই দুর্দশার কথা তিনি লাঘব করা যায়, তার উপায় উদ্ভাবনে সদা সচেষ্ট থাকতেন। ১৯২৯ সালে কৃষক - প্রজাদের দাবি - দাওয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি একটি সমিতি গঠন করেন এবং তার নাম দেন 'নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি' এবং এর দ্বারা তিনি কৃষকদের আন্দোলন এতটা জোরদার করে তোলেন যে ব্রাহ্মণ্যবাদী জমিদার মহাজনগণ কৃষকদের সঙ্গে আপস করতে বাধ্য হন এবং জোর জুলুম করে কৃষকদের যেসব জমি দখল করে নিয়েছিলেন, তা ফেরত দিতে বাধ্য হন।
একটি আইন প্রনয়ন করে তিনি সারা বাংলার সকল গরিব প্রজাদের জীবন রক্ষা করেছিলেন, যার ফলশ্রুতি 'ঋণসালিসি বোর্ড। যে বোর্ড বাংলার কয়েক কোটি চাষিকে মহাজনী ঋণের ফাঁস থেকে মুক্ত করেছিল। ‘লাঙ্গল যার, জমি তার’, ‘ঘাম যার, দাম তার’ প্রভৃতি ছিল তাঁর কৃষক প্রজা পার্টির তোলা আওয়াজ। তৎকালে সুদ ও চক্রবৃদ্ধি সুদের প্রভাব ও শোষণ এত বেশি ছিল যে, একবার যে কৃষক, এই যাঁতাকলে আবদ্ধ হত, নিষ্পেষিত হওয়া ছাড়া তার আর বাঁচার কোন উপায় থাকতো না। ব্রাহ্মণ্যবাদী মহাজনগণ আগ্রহসহকারে কৃষকদের ঋণ দিত এবং সুদের হার ছিল অত্যন্ত বেশি। আর মহাজনী আইন এত শক্ত ছিল যে, নিদিষ্ট সময়ে সুদ পরিশোধ করতে না পারলে ঐ সুদটা আসলেন রূপান্তরিত হত এবং এইভাবে সুদ বাড়তে বাড়তে কয়েক বছরের মধ্যে এত ঋণ জমা হয়ে যেত যে, ঐ কৃষকের পক্ষে আর ঐ টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হত না। ফলে যে জমিটাবন্ধক রেখে ঋণের টাকা গ্রহণ করত, ঐ জমিটাই নিলাম করে মহাজন নিয়ে নিত এবং এইভাবে কৃষক-প্রজারা একের পর এক জমি হারিয়ে একেবারে ভূমিহীন হয়ে পড়ত। এহেন পরিস্থিতিতে এই ক্ষণজন্মা পুরুষ শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক আইন করে ঋণসালিসি বোর্ড গঠন করে দিয়ে বাংলার দলিত ও মুসলিম কৃষককুলকে চরম ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।
মহাতমা #জ্যোতিরাও ফুলে কে স্কুল বানানোর জন্য জায়গা ওসমান শেখ নামে এক #মুসলমান দিয়েছিলেন।*
ওসমান শেখের বোন #ফাতেমা শেখ, সাবিত্রীবাই ফুলে কে সাথ সহযোগিতা করে #স্কুলে পোড়ানোর কাজ করেছিলেন।*
বাবাসাহেব আম্বেদকর যখন পুকুরের জল খাবার জন্য আন্দোলন চালিয়েছিলেন তখন সভা করার জন্য বাবাসাহেব কে কোন #ব্রাহ্মণ হিন্দু সমাজ জায়গা দেয়নি, তখন মুসলমান ভাইরা আগে এসে নিজের #জায়গা দিয়েছিলেন এবং বাবাসাহেব কে বললেন আপনি আমাদের জায়গাতে #আন্দোলন করুন।*
যখন #লন্ডনে রাউন্ড টেবিল পরিষদে #গান্ধী, বাবাসাহেব আম্বেদকর কে বিরোধ করেছিল এবং রাতে 12.p.m সময় গান্ধী #মুসলমানদেরকে ডেকে বলেছিলেন তোমরা যদি বাবাসাহেব আম্বেদকারের #বিরোধ করো তাহলে আমি সব শর্ত #পূরণ করব এবং কী #গরু তোমরা খুলে আম কাটতে পারো আমি এটাও দাবি তোমাদের #পূরণ করব। তখন মুসলমান ভাইয়ে, #অঙ্গার খান সাহেব #গান্ধী কে বারন করে দেয় এবং বলেছিলেন আমরা বাবাসাহেব আম্বেদকর এর দাবিগুলি কোনরকম ই #বিরোধ করবো না।*
#মাওলানা হসরত মেহানি বাবাসাহেব আম্বেদকর কে #রমজান পবিত্র মাসে নিজের বাড়িতে #রোজা ইফতারের নেমন্তন্ন দিয়েছিলেন।*
কিন্তু #পন্ডিত মদনমোহন মালবি বাবাসাহেব আম্বেদকর কে এক গ্লাস #জল পর্যন্ত দেয়নি।*
যখন সব #ব্রাহ্মণ মিলেমিশে বাবাসাহেব আম্বেদকর এর জন্য সংবিধান সভার সমস্ত #দরজা এবং #জালানা__বন্ধ করেছিল। তখন পশ্চিমবাংলা থেকে মুসলমান এবং নবশূদ্র চন্ডাল রা বাবাসাহেব আম্বেদকর কে নির্বাচন করে #জিতিয়ে সংবিধান #সভা পাঠিয়েছিল।*
*এসসি, এসটি, ওবিসি কে ভাবতে হবে এবং চিন্তন মন্থন করতে হবে মুসলিম নেতাদের জন্য বাবাসাহেব আম্বেদকর কে ইতিহাসে সাথ সহযোগিতা দিয়েছিলে, এবং ব্রাহ্মণরা সারা জীবন বিরোধ করেছিল বাবাসাহেব আম্বেদকর এর।*
*তার জন্যই বাবাসাহেব আম্বেদকর বলেছিলেন যে জাতি যে সমাজ নিজের ইতিহাস জানে না সে জাতি শেষ সমাজ নিজের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারেনা । আজকে আমরা কি করছি.?*
বামুনদের টোলে ঠাঁই না পেয়ে #গুরুচাঁদ_ঠাকুর মুসলমানদের মক্তবে পড়াশোনা শিখেছেন। বামুনরা এলাকা থেকে বের করে দিলেন।
তাই মুসলিমদের উপর এত জ্বালা বামুনদের। দলিতরা জেনে রাখুন পশ্চিম বাংলার মত যেখানে মুসলিম বেশি আছে সেখানে বামুনরা আপনাদের উপর অত্যাচার করতে সাহস করে না। আর বিহার ইউপি গুজরাট রাজস্থান যেখানে যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা কম আছে সেখানে বামুনরা নিত্যদিন দলিতদের নির্যাতন করে হত্যা করে।
0 Comments