বর্তমান সময়ে আমরা সবাই করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য আমরা নানা পন্থা অবলম্বন করছি। শরীরে যেন কোন ভাবে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে। এর জন্য সরকার, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন সর্বদা সচেতন করে চলেছে। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে৷ দেখেছি আমাদের ইমানে ভাইরাস বা শিরক্ ঢুকেছে কি না? এর জন্য কি আমরা ইমান রক্ষা করার জন্য কোন পন্থা অবলম্বন করেছি। কখন কি অ্যান্টি ভাইরাস দিয়েছি? অথচ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাইরাস হলো শিরক্। 

তাই সময় থাকতে ইমান কে শিরকে্র হাত থেকে রক্ষা করুণ। মহান আল্লাহর ঘোষণা 

"তাদের বেশীর ভাগ আল্লাহকে মানে কিন্তু তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করে। "
(১২: ইউসুফ:১০৬,)

শিরক্ মিশ্রিত ইমান আল্লাহর কাছে গ্রহণ যোগ্য নয়। অচথ আমরা জীবনে চলার পথে যেকোনো না কোন শিরক্ এর সাথে জড়িয়ে পড়ছি। আমরা আল্লাহ কে মানি বটে। তবে তার সঙ্গে শরীক করে চলেছি অহরহ। 

আল্লাহ বলেন ‘‘সুতরাং তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না। অথচ তোমরা এ সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছো।’’ (সূরা বাকারা আয়াত ২২)

হ্যাঁ আমরা জেনেও শিরক্ করি আবার না জেনেও শিরক্ করে থাকি। শিরক্ করলে মহান আল্লাহপাক সমস্ত আমল বরবাদ বা ধ্বংস করে দেয়। মহান আল্লাহ বলেন

"কিন্তু যদি তারা কোন শির্‌ক করে থাকতো তাহলে তাদের সমস্ত কৃতকর্ম ধ্বংস হয়ে যেতো।"
(৬: আল-আনয়াম:৮৮,)

যে ব্যক্তি শিরক্ করে তার জন্য জান্নাত হারামঃ

মহান আল্লাহ বলেন

"যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেছে তার ওপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আবাস জাহান্নাম। আর এ ধরনের জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।”
৫: আল-মায়িদাহ:৭২,


আল্লাহ শিরক্ এর গোনা মাফ করে নাঃ

"আল্লাহ কেবলমাত্র শিরকের গোনাহ মাফ করেন না। এছাড়া আর যাবতীয় গোনাহ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করে, সে গোমরাহীর মধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।"
(৪: আন-নিসা:১১৬,)

তাই আমাদের জীবনের বেলাফুরাবার আগে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা কোরনা ভাইরাস থেকে হয়তো একদিন বেঁচে যাবো। কিন্তু মৃত্যু থেকে কেউ বাঁচতে পারবো না। শিরক্ মিশ্রিত ইমান নিয়ে মৃত্যু খুবই ভয়াবহ হবে। তাই ইমান কে ভাইরাস বা শিরক্ থেকে রক্ষা করুন।