উত্তর প্রদেশের শাজাহানপুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের আজকের দিনে।


পরিবারের অনেকেই ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ ও সামরিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বলাই বাহুল্য তারা ছিল বৃটিশ ভক্ত। 
ব‍্যতিক্রম কেবল আসফাক এবং তাঁর বড়ো ভাই রিয়াসাতউল্লা।
আসফাক ছোটবেলা থেকেই সুন্দর কবিতা লিখতে পারতেন। শক্তি আর সাহসের কথা ফুটে উঠত সেই সব লেখায়। বিপ্লবীরা পড়ে উদ্বুদ্ধ হত।
একদিন বড়ভাই রিয়াসাতের সহপাঠী 
বিখ্যাত বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিল তাঁর কবিতা পড়ে তাঁকে ডেকে পাঠান।
শুরু হয় অসম বয়সী দুই বিপ্লবীর বন্ধুত্ব।
আসফাক অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হন এবং ঝাঁপ দেন চরমপন্থী স্বাধীনতা আন্দোলনে। 

৯ ই আগষ্ট ১৯২৫ 
রামপ্রসাদ, মুরারী লাল, কেশব চক্রবর্তী, আসফাক সহ আটজন বিপ্লবী
সরণপুর লখনৌ চলাচলকারী ৮-ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বহনকারী সরকারি কোষাগার লুঠ করলেন বিনা রক্তপাতে।
দুর্ভাগ্য, এক মাসের মধ্যেই ধরা পড়ে গেল সাত জন। শুধু আসফাকই অধরা! 
তাঁকে ধরতে ৫০০০ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করল বৃটিশ সরকার। 
আট মাস পর দিল্লিতে এক পাঠান বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতায
ধরা পড়ে যান।
শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। পরিবারের সদস্যরা এমনকি তাঁর মা‌ও পর্যন্ত তাঁকে মিথ‍্যার আশ্রয় নিতে বারংবার অনুনয় করেন। কিন্তু জীবনের চেয়ে দেশমাতৃকা যার কাছে অনেক বড়, তাকে সত‍্যের পথ থেকে টলাতে পারে সাধ্য কার!

১৯২৭ এর ২৭ শে আগষ্ট ফাঁসি হয় নির্ভীক সত্যবাদী এই মহান দেশপ্রেমিকের।
আজ তাঁর ১২২তম জন্মদিনে মহান বিপ্লবী আসফাকউল্লাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রনাম। 
                            ... অসিম পাল