যার স্বপ্ন নেই তার ভবিষ্যৎ নেই 
__________________________________
ভবিষ্যতের কোন বৃহৎ কাজের জন্য প্রথম স্বপ্ন দেখতে হবে।

তার পর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। তার পর সেই পরিকল্পনা পূরণে জন্য সক্রিয় ভাবে কাজ করে যেত হবে। শতবাধাকে উপেক্ষা করে হলেও নিজ স্বপ্নের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে। তবেই তো সোনালী সুদিনের সকাল  দোয়ার খুলবে।

কিন্তু যাদের কোন ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন নেই। এবং স্বপ্ন পূরণের কোন পরিকল্পনা নেই। তাদের ভবিষ্যৎ  কি ভাবে উজ্জ্বল হবে। তাই তারা মুখে যাই বড় বড় বুলি বা কথা বলুক না সবই বৃথা হবে। একজন জ্ঞানী মানুষও মুর্খের কাছে তখনই হেরে যায়, যখন  জ্ঞানী মানুষের কোন স্বপ্ন বা পরিকল্পনা থাকে না। আর মুর্খের পরিকল্পনা থাকে।

তাই আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে।  এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ্য অবিচল থাকতে হবে।

যুদ্ধে জিততে গেলে শত্রুও তাদের কলা কৌশল জানতে হব
___________________________________
আমরা যুদ্ধ করতে চাই কিন্তু শত্রু চিনিনা। জানিনা তাদের কলা কৌশল ও গতিবিধি। জানি না তাদের দুর্বল দিকগুলি। ফলে আমরা ভুল জায়গায় ও ভুল লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। তাই আমাদের ভাগ্যে ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই জুটেনি। আমরা ভাবছি আমরা খুবই লড়াই করছি। হ্যাঁ লড়াই করছি ঠিকই তবে ভুলজায়গায়। শত্রু আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই লাগিয়ে দেয়। যাতে করে কেউ আসল শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই না করে। একটা ভাইকে আর একটা ভায়ের শত্রুতে পরিনত করে তাদের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দেয়। ফলে আমরা ভায়ে ভায়ে লড়াইয়ে নিজশক্তি ব্যয়করি ফেলি।  আর আসল শত্রু দিব্যি আমাদের বন্ধু সেজে তালিদেয়।


একটা কুকুর কিন্তু তার আসল শত্রু চেনে। কেউ যদি কুকুর কে ঢিলা মারে তাহলে কুকুর ঢিলার দিকে ছুটে যায় না। ছুটে যায় যে ঢিলা টি মেরেছে। আর আমরা ছুটছি ঢিলার দিকে। যাকে ছুঁড়ে মারা হয়েছে। আমাদের এই অবস্থা দেখে শত্রুরা খুবই আনন্দ উপভোগ করে। আর 
আমাদের সমাজের বুদ্ধিজীবিরা এই লড়াই ব্ন্ধ না করে, আগুনে জল না ঢেলে ঘৃ ঢেলে আগুনের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে। কে ভুল কে ঠিক এই বিচারে তারা আমাদের  ব্যস্ত রেখেছে। তাই বলা যায় শত্রু ও তাদের কলা কৌশল চিহ্নিত করে লড়াই করো।
তাহলে সফলতা আসবে। না হলে ভাগ্যে শুধু ব্যর্থতা আর দাসত্বই থাকবে.... 


শত নিন্দাবাদ জানিয়ে ও আমরা ওদের হারাতে পারবো না
_________________________________
আমরা অত্যচারী শাষকদের জুলুমের অতিষ্ট হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সারাদিন নিন্দাবাদ জানায়। কিন্তু শতনিন্দাবাদ জানিয়েও কোন লাভ হয় না। তারা যেমন ক্ষমতায় ছিল আবার তেমনই ক্ষমতায় রয়ে যায়। আমরা নিন্দাবাদ জানাতে চাই কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে জনসমর্থন তৈরি করে ঐক্যবদ্ধ হতে চাই না। আন্দোলন করতে চাই না। অর্থ খরচ করতে চাই না। সময় দিতে চাই না। আমরা দলাদলি আর ভাগাভাগি করতে পছন্দ করি। 

প্রতি নির্বাচনে ওদের মিথ্যা বুলিতে বিশ্বাস করে প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে সমার্থন করে বসি। ওদের বিকল্প কিছু কে আমরা সমার্থন করতে চাই না। যারা ওদের বিকল্প কিছু করতে চাই আমরা তাদের শত্রু মনে করি। আর অত্যাচারী শাষকদের  সমার্থন করে সারাদিন ওদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করি। আমরা আমড়া গাছ লাগিয়ে আপেল খেতে চাই। আপেল গাছ লাগাতে চাই না। 

 ছোট শত্রুকে বড় শত্রুতে পরিনত করা এক ধরনের অজ্ঞতা ছাড়া আর কিছুই নয়
___________________________________   
হ্যাঁ প্রতি নির্বাচনের সময় এলে দলিত বহুজন ও মুসলিমরা এই অঙ্ক করতে ব্যস্ত থাকে যে কোন দল ছোট শত্রু আর কোন দল বড় শত্রু। যে দল ছোট শত্রু বলে তাদের কাছে বিবেচিত হয়  তারা সেই দলকেই নির্বাচনে জেতাবার অঙ্গিকার করে। এই ভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে আগে কংগ্রেসকে এবং তার পর সিপিএম কে আর বর্তমানে তৃনমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায়  এনেছে। অর্থাৎ তারা একটা একটা করে তাদের ধারণা অনুযায়ী ছোট শত্রুকে বড় শত্রুতে পরিনত করেছে। আর সব থেকে বড় শত্রু বিজেপি তো আছেই।


শত্রু নির্মূল নয় আমরা শত্রু বাড়াতে শিখিছি। আর এটা পরিষ্কার যে শত্রু কখনও আমাদের উন্নতি করবে না। কিন্তু আমাদের ধারণা ওরাই আমাদের উন্নতি করে দেবে। এই আশায় আমরা ওদের দলদাসে পরিনত হয়েছি। বিনিময়ে ওরা আমাদের কিছু এম এল এ। এম পি,  পঞ্চায়েত মেম্বার, প্রধান, কাউন্সিলার বানিয়েছে। আর এতেই আমরা সব পেয়েগেছে বলে খুশিতে বাগেবাগ। আমরা  ব্রাহ্মন্যবাদী দের গদি রক্ষার জন্য ভায়ে ভায়ে খুন খারাবি করি, বুথ জাম করি। বাড়ি, দোকান ভাঙাভাঙি করি আর  নিজেদের জীবন বলি করি। ওরা আমাদের ফুটবল বানিয়েছে। ফলে আমরা চাকরিতে শূন্য, ব্যবস্যায় শূন্য,জমি, ও শিল্পতে শূন্য হয়েছি।

মানোসিক পরিবর্তন ছাড়া বিপ্লব অসম্ভব
__________________________________

রাষ্ট্র পরিবর্তন করতে গেলে আগে সমাজ পরিবর্তন করতে হবে। কারন সমাজ পরিবর্তন না হলে রাষ্ট্র পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। আর সমাজ পরিবর্তন করতে গেলে আগে পরিবার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ পরিবার পরিবর্তন না হলে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব হবে না।আবার পরিবার পরিবর্তন করতে গেলে প্রথম ব্যক্তির পরিবর্তন করতে হবে। ব্যক্তি পরিবর্তন না হলে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব হবে না।

তাই আমরা যারা রাষ্ট্র পরিবর্তন করতে চাই প্রথম আমাদের ব্যক্তি পরিবর্তনের কাজ করে যেতে হবে। আমরা যতই মুখে বড় বড় বুলি বলি না কেন ব্যক্তি পরিবর্তন না হলে কখনই রাষ্ট্র পরিবর্তন করা যাবে না। এই কাজটি নিঃশব্দে করে যেতে হবে। 

একটা জায়গায় আমরা হেরে গেছি।
___
___


___
_________________________
 আমরা একটা জায়গায় হেরেগেছি তাহলো আমরা শিক্ষিত নয় সংগঠিত নয়।আমরা শিক্ষিত  ও সংগঠি হলেও যথেষ্ট সংখ্যক নয়। আমরা একজন আর একজনের ভুলগুলি নিয়ে তর্কবির্তক করে বিভেদ করি। একজন আর একজন কে অহংবোধ এর জন্য মেনে নিতে পারি না। কেউ নিজের ভুল নিয়ে আলোচনা করি না। আর অপর দিকে ব্রাহ্মণ্য বাদী রা  নিজেদের মধ্যে হাজারও বিভেদ থাকার পর তারা ঐক্যবদ্ধ। এখানেই আমরা হেরে গেছি। 
তাই সময় এসেছে আমাদের শিক্ষিত হতে হবে, সংগঠিত হতে হবে এবং আন্দোলন করতে হবে