গৌতমববুদ্ধের সমসাময়িক প্রখ্যাত মনীষী বৈশালী প্রজাতন্ত্রের বিখ্যাত সেনানায়ক সিংহ সেনাপতির আত্মজীবনী আবিষ্কৃত হয়েছে। ষোলশ টালিতে লেখা এই আত্মজীবনীর আবিষ্কারক হচ্ছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্ডিত রাহুল সাংকৃতায়ন। এই আত্মজীবনীতে সিংহ সেনাপতি তাঁর সাথে বুদ্ধদেবের যে সকল সাক্ষাত কথাবার্তা হয়েছিল তার প্রত্যক্ষ ও যথাযত বিবরণ লিপিবদ্ধ করে গেছেন। তা থেকে তুলে ধরা হল।
সিংহসেনাপতিঃ পূজ্য! আপনার বিরোধীরা বলে বেড়ায় যে আপনি নাস্তিক। তারা কি সত্যকথা বলে?
বুদ্ধঃ জড়-চেতন,দেব- ব্রাহ্মন কোন কিছুকেই আমি নিত্যবস্তু বলে মনে করি না। যা কিছু আছে তা জন্মগ্রহণ করেছে, যাকিছু জন্মেছে তাই মরণশীল নষ্ট হবে। নিত্য ধ্রুব আত্মার কথা শুধু ভ্রম আর লোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জীবনকে আমি অস্বীকার করি না সেনাপতি। কিন্তু জীবননদীর প্রবাহ- তা প্রতি মুহুর্তে নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। যদি তা পরিবর্তিত হবার, নতুন হবার সুযোগ না থাকতো- তাহলল আমাদের সমস্ত সুকর্ম, সুবিচার, বহুবচন সবই নিষ্ফল হতো। কারণ নিত্য- ধ্রুব জীবনের ওপরে তার কোন প্রবাহ বাস্তব হতোনা। আমি জীবনের সব সময় পরিবর্তন, নতুন হওয়ার কথা স্বীকার করি। তবে ব্রাহ্মন্, পরিব্রাজক বা অপরাপর তীর্থঙ্কররা যেভাবে মানেন, আমি সেভাবে মানিনা, তাই তাঁরা আমাকে নাস্তিক বলেন। কিন্তু আমি তো জীবনকে বা জীবনের উচ্চস্তরে যাবার সম্ভাবনা অস্বীকার করিনা। আর এই জন্যেই আমার সম্বন্ধে যারা সতয কথা বলে, তাদের আমাকে আস্তিক বলা উচিত।
সিংহসেনা পতিঃ আর আমি বলবো, ঠিক অর্থে আপনি আস্তিক।
(সিংহসেনাপতি)
1 Comments
তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
ReplyDelete